নিজস্ব প্রতিনিধি: প্রয়াগরাজ ধর্ষণকাণ্ডের পর তৃণমূল গঠন করেছিল সত্য অনুসন্ধান কমিটি। অভিযোগ, প্রয়াগরাজে ২ মহিলাকে ধর্ষণের ঘটনার তদন্ত শুরু করেনি উত্তরপ্রদেশের (UP) পুলিশ (Police)। আরও অভিযোগ, অভিযোগের পর তাতে ধর্ষণের ধারাও যোগ করা হয়নি। তাই শুক্রবার মানবাধিকার কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিল তৃণমূল (TMC)। সত্যানুসন্ধান কমিটির ( Fact Finding Committee) পক্ষ থেকে এদিন স্মারকলিপি জমা দিয়ে কমিশনে অভিযোগ জানানো হয়। জানা গিয়েছে, মোট ১২ টি বিষয়ের উল্লেখ রয়েছে ওই স্মারকলিপিতে।
শুক্রবার জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের (National Human Rights Commission) দ্বারস্থ হয়েছিলেন তৃণমূলের সত্য অনুসন্ধান কমিটি। ১২ টি বিষয় উল্লেখ করে কমিশনে অভিযোগ পেশ করেন সবুজ শিবিরের ৩ প্রতিনিধির দল। উপস্থিত ছিলেন, সাংসদ দোলা সেন, জাতীয় মুখপাত্র সাকেত গোখলে এবং উত্তরপ্রদেশের তৃণমূল নেতা ললিতেশ ত্রিপাঠী। স্মারকলিপিতে এই ৩ জনের স্বাক্ষরের পাশাপাশি ছিল মন্ত্রী জ্যোৎস্না মান্ডি এবং বনগাঁর প্রাক্তন সাংসদ মমতাবালা ঠাকুরের স্বাক্ষর। তাঁরাও রয়েছেন এই সত্য অনুসন্ধান কমিটিতে। এদিন স্মারকলিপি জমা দিয়ে দোলা বলেন, নিরপেক্ষভাবে তদন্ত হচ্ছে না। সেই সঙ্গে তাঁর অভিযোগ, স্মারকলিপি জমা দেওয়ার আগে তাঁদের সঙ্গে ‘সুস্থ’ ব্যবহার করা হয়নি। অভিযোগ, কলকাতা থেকে প্রতিনিধি দল এসেছে শুনে ভালো ব্যবহার করা হয়নি।
উল্লেখ্য, গত শনিবার প্রয়াগরাজের থরবই থানার খেভরাজপুরে একই পরিবারের ৫ জনকে কুপিয়ে খুনের ঘটনা ঘটেছিল। মৃতদের মধ্যে ১ শিশুকন্যা সহ ২ মহিলাও ছিলেন। গত রবিবার ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতদের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তৃণমূলের ৫ সদস্যের সত্যানুসন্ধান কমিটি।