নিজস্ব প্রতিনিধি: তিনি বীরভূম জেলার দোর্দন্ডপ্রতাপ নেতা। বারবার দলকে সাফল্য এনে দিয়েছেন তিনি। কিন্তু বর্তমানে জেল হেফাজতে রয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। সূত্রের খবর, কেষ্টর গড় বীরভূমে (Birbhum) এবার দলের শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব দেওয়া হতে চলেছে লাভপুরের বিধায়ক অভিজিৎ সিংহকে (Abhijit Singha)।
তৃণমূল সূত্রের খবর, বীরভূম জেলার তৃণমূল নেতা কর্মীরা দলের বিরুদ্ধে বিতর্কিত ফেসবুক পোস্ট করে বিতর্ক তৈরি করেছেন। সেই বিতর্কিত মন্তব্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতেই এই সিদ্ধান্ত জোড়াফুল শিবিরের। সূত্রের খবর, আপাতত দল চালাবে বীরভূম জেলার সমন্বয় কমিটি ও তৃণমূল কংগ্রেসের বিভিন্ন বৈঠক ডাকবেন সিউড়ির বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী ও দলের মুখপাত্র মলয় মুখোপাধ্যায়। জেলা কমিটির বৈঠকে বোলপুরে এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত শনিবার রামপুরহাটে হাসন বিধানসভার বিষ্ণুপুরে এক সভায় বক্তব্য রাখার সময় রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম অনুব্রত মণ্ডলকে ‘বীরভূমের বাঘ’ বলে অভিহিত করেছেন। ওই সভা থেকে বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দেগে ফিরহাদ বলেন, ‘বনের বাঘ এক দিক থেকে অন্য দিকে চলে গেলে শেয়ালরা মাঝেমাঝে লাফালাফি করে। আবার যেই বাঘ আসে তখন শেয়ালগুলি লেজ নাড়িয়ে পালিয়ে যায়।’ একইসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বীরভূমের বাঘকে তোমরা কিছু দিনের জন্য খাঁচায় রেখেছ। সারা জীবন পারবে না। সেই বাঘ যখন আবার বেরিয়ে আসবে তখন আজ যে শিয়ালগুলি হুক্কা হুয়া করছে তারা সকলে আবার খাঁচায় ঢুকে যাবে।’
উল্লেখ্য এর আগে তাঁকে জেল থেকে বীরের সম্মান দিয়ে ফিরিয়ে আনার জন্য দলের নেতা কর্মীদের বার্তা দিয়েছেন খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত সেপ্টেম্বর মাসে নেত্রী বলেন, ‘কেষ্ট যতদিন ফিরে না আসছে, লড়াই আরও তিনগুণ বাড়বে। বীরের সম্মান দিয়ে কেষ্টকে জেল থেকে বের করে আনতে হবে। এই মানসিকতা নিয়ে তৈরি থাকুন। বীরভূম জেলা হারতে শেখেনি, ওটা লাল মাটির রাস্তা, লাল মাটির দেশ। এটা সবসময় মাথায় রাখবেন।’