নিজস্ব প্রতিনিধি, ইংলিশবাজার: শতাধিক পুরসভার ভোটের আগেই সুখবর ঘাসফুল শিবিরে। বিজেপির হাত থেকে মালদা জেলা পরিষদ ছিনিয়ে নিল রাজ্যের শাসকদল। বুধবার জেলা পরিষদ সভাধিপতি নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হন তৃণমূল কংগ্রেসের রফিকুল হাসান। জেলা পরিষদের ৩৭ সদস্যের মধ্যে ৩০ জনই তাঁকে সমর্থন জানান। পরাজয় নিশ্চিত বুঝতে পেরে এদিন জেলা পরিষদ সভাধিপতি নির্বাচনের সভায় হাজির হননি বিজেপি সহ বিরোধি সদস্যরা। তবে সবচেয়ে লক্ষ্যণীয় হলো, গত বিধানসভা ভোটের আগে তৃণমূল কংগ্রেস থেকে ডিগবাজি খেয়ে বিজেপিতে নাম লেখানো বেশ কয়েকজন সদস্য এদিন আবার ডিগবাজি খেয়ে সভাধিপতি নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী রফিকুল হোসেনকে সমর্থন করেছেন।
গত বিধানসভা ভোটের আগে মালদা জেলা পরিষদের তৎকালীন সভাধিপতি গৌড় মণ্ডল সহ ১২ জন সদস্য তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে নাম লেখান। ফলে ৩৭ আসনবিশিষ্ট মালদা জেলা পরিষদে সংখ্যালঘু হয়ে পড়ে রাজ্যের শাসকদল। কিন্তু বিধানসভা নির্বাচন চলাকালীন ও নির্বাচন পরবর্তী সময়ে বিজেপিতে যোগদানকারী বেশ কয়েকজন সদস্য তৃণমূলে ফেরেন। তার পরেই জেলা পরিষদ সভাধিপতি গৌড় মণ্ডলের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনে রাজ্যের শাসকদল। পরাজয় নিশ্চিত বুঝতে পেরে জেলা পরিষদের সভাধিপতি পদ থেকে ইস্তফা দেন গৌড় মণ্ডল।
বুধবার মালদা জেলা পরিষদের সভাধিপতি নির্বাচনের দিন স্থির করে প্রশাসন। সেইমতো জেলা পরিষদের কনফারেন্স হলে সভাধিপতি নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হয়। তৃণমূলের পক্ষে দাঁড়ান রফিকুল হোসেন। ৩০ জন সদস্য তাঁকে সমর্থন জানান। বিজেপির ছয়জন এবং কংগ্রেসের একজন সদস্য এদিন অনুপস্থিত ছিলেন।
জেলা পরিষদের নবনির্বাচিত সভাধিপতি রফিকুল হোসেন সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ‘জেলার উন্নয়ন তাঁর প্রধান লক্ষ্য।’ যদিও ভয় দেখিয়ে তাঁদের বেশ কয়েকজন সদস্যকে তৃণমূলকে সমর্থন জানাতে বাধ্য করা হয়েছে বলে বিজেপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে।