নিজস্ব প্রতিনিধি: ‘অগ্নিপথ'(Agnipath) প্রকল্প নিয়ে দেশের বিভিন্ন রাজ্য উত্তাল। ট্রেন জ্বালিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে বিহার, উত্তরপ্রদেশ তেলেঙ্গানায়। সেই বিক্ষোভের আঁচ থেকে বাদ যায়নি বাংলা। বৃহস্পতিবার, শুক্রবার রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ দেখিয়েছেন চাকরি প্রার্থীরা। শনিবার সকাল থেকে ব্যারাকপুরে রেল অবরোধ করেন বিক্ষোভকারীরা। এদিন বাঁকুড়ায় এই নিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে পারেন চাকরি প্রার্থীরা। গোপন সূত্রে সেই খবর পেয়ে এবার বিক্ষোভ রুখতে তৎপরতা শুরু করেছে প্রশাসন।
বিক্ষোভ হতে পারে এমন খবর পেয়ে শনিবার সকাল থেকে তৎপরতা শুরু করে বাঁকুড়া জেলা পুলিশ এবং আরপিএফ। জেলা পুলিশের তরফে বাঁকুড়ার কেরানিবাঁধে তল্লাশি অভিযান শুরু করা হয়। একইসঙ্গে আরপিএফের তরফে বাঁকুড়া স্টেশনে শুরু করা হয় জোরদার তল্লাশি। কোথাও কোনও জমায়েত দেখলে পুলিশ আধিকারিকরা তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করছেন। করতে দেওয়া হচ্ছে না কোনরকম জমায়েত কোথাও। বাস থামিয়ে ছাত্র যুবদের ব্যাগে তল্লাশি চালায় পুলিশ। এদিন তল্লাশি অভিযান চালানোর সময় বাঁকুড়ার কেরানিবাঁধ মোড়ে উপস্থিত ছিলেন ডিএসপি সুপ্রভাত দাস।। এই বিষয়ে তিনি বলেন, “কোনরকম অশান্তি যাতে জেলায় না হয়, সেজন্য আমরা সতর্ক রয়েছি। তাই এই তল্লাশি অভিযান চালানো হচ্ছে। কোনরকম জমায়েত যাতে না হয়, সেদিকে আমাদের নজরদারি রয়েছে।”
উল্লেখ্য অগ্নিপথ প্রকল্পের বিরোধিতা করে বৃহস্পতিবার, শুক্রবারের পর শনিবারও বিক্ষোভের ঘটনা ঘটেছে রাজ্যে। শনিবার উত্তর ২৪ পরগনার ব্যারাকপুরে রেল লাইনে সকাল থেকে অবরোধ করেন বিক্ষোভকারীরা। যার ফলে থমকে যায় যায় ট্রেন চলাচল। দুর্ভোগে পড়েন নিত্যযাত্রীরা। শিয়ালদহ মেন লাইনের আপ ও ডাউন ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়। অফিস টাইমে অবরোধ হওয়ায় দুর্ভোগে পড়েন নিত্যযাত্রী ও অফিসযাত্রীরা। ব্যারাকপুরের ১৪ নং রেল গেটের কাছে লাইনে অবরোধ করেন চাকরি প্রার্থীরা। আরপিএফের তরফে প্রথমে অবরোধ তুলে নেওয়ার জন্য আবেদন করা হয় বিক্ষোভকারীদেরকে। কিন্তু বিক্ষোভকারীরা তা না শোনায়, পুলিশ জোর করে আটক করে নিয়ে যায় বেশ কয়েকজনকে। আরপিএফ এর হস্তক্ষেপে অবশেষে অবরোধ উঠে যায়।