নিজস্ব প্রতিনিধি: তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কম্যান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনসংযোগ কর্মসূচি তৃণমূলে নব জোয়ার যাত্রা বৃহস্পতিবার ৫০ দিনে পড়েছে। বর্তমানে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় রয়েছে অভিষেকের যাত্রা। শুক্রবার কাকদ্বীপে এই কর্মসূচির সমাপ্তি ঘোষণা হবে। ওইদিন কাকদ্বীপে নব জোয়ার যাত্রার সভা থেকে যৌথ বক্তব্য রাখবেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য রাজনীতিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই যাত্রা বিপুল সাড়া ফেলে দিয়েছে। নবজোয়ার যাত্রা চলাকালে সাগরদিঘির কংগ্রেস বিধায়ক বাইরন বিশ্বাস তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন অভিষেকের হাত ধরে। যার ফলে রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল।
অর্ধ শত দিনের এই যাত্রায় আরও গুরুত্বপূর্ণ যা যা ঘটেছে তার উপরে নজর রেখে এই প্রতিবেদন। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক জনসংযোগ কর্মসূচিতে যখন মালদায় ছিলেন, জেলার হবিবপুরে ১২৭ বছরের বৃদ্ধা বিমলা সরকার বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসে অভিষেককে আশীর্বাদ করেছিলেন। উঃ দিনাজপুরের ইটাহার জনসমুদ্রের জেরে আটকে পড়েছিল অভিষেকের কনভয়। শেষমেষ গাড়ির মাথায় উঠতে হয়েছিল ডায়মন্ডহারবারের সাংসদকে।
নব জোয়ার যাত্রায় জেলার সূত্রপাত কর্মসূচিতে স্বাগত অনুষ্ঠানে সবথেকে বেশি জন সমাগম হয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার কাঁপা মোড়, কাছড়াপাড়া এলাকায়। পূর্ব মেদিনীপুরের চন্ডীপুর থেকে নন্দীগ্রাম ২০ কিলোমিটার হেঁটে পদযাত্রায় রেকর্ড করেছেন অভিষেক।
ভালো মুহূর্তের পাশাপাশি কিছু অপ্রীতিকর পরিস্থিতির মুখোমুখিও হয়েছে অভিষেকের নব জোয়ার যাত্রার কনভয়। ঝাড়গ্রামের গড় শালবনীতে কুর্মিদের সামনে রেখে বিজেপির গন্ডগোল। উত্তর ২৪ পরগনার ঠাকুরবাড়ি, মন্দিরে পুজো দিতে অভিষেককে বাধা দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। প্রাকৃতিক বিপর্যয় ঝড়বৃষ্টিতে সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আলিপুরদুয়ার, বান্দোয়ান, দুর্গাপুরের শিবির।
খেজুরিতে নদী পথে লঞ্চ করে গিয়ে মৎস্যজীবীদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। যাত্রায় বিভিন্ন জায়গায় ভাষণ দেওয়ার সময় অভিষেকের আক্রমণের নিশানায় ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। করমণ্ডল এক্সপ্রেসে দুর্ঘটনার পর নব জোয়ার যাত্রা চলাকালীন কর্মসূচি স্থগিত করে হাওড়ায় এসেছিলেন। বুধবার ১৪ জুন, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় যাত্রার সময় রক্তদান করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সিবিআইয়ের ডাকে নব জোয়ার থামিয়ে কলকাতায় এসেছিলেন তিনি। তবে পঞ্চায়েত ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হওয়ায় পর ইডি দফতরে হাজিরা দিতে যাননি তিনি।