নিজস্ব প্রতিনিধি: পশ্চিম বর্ধমান জেলার সদর শহর আসানসোল(Asansol) পুরনিগমের প্রাক্তন মেয়র তথা জেলারই পান্ডবেশ্বর বিধানসভা কেন্দ্রের প্রাক্তন বিধায়ক জিতেন্দ্র তিওয়ারি(Jitendra Tiwari) বেসুরো হয়েছেন বঙ্গ বিজেপিতে। আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে বিজেপির(BJP) হারের পরেই জিতেন্দ্র বেসুরো হয়ে প্রথমে টুইট(Tweet) করে লিখেছিলেন, ‘বাংলা জিততে চান, তবে বাংলার মানুষের মন জয় করতে হবে।’ সেই সময় বিজেপির কেউ বা জিতেন্দ্র নিজে এটা স্বীকার করতে চাননি যে জিতেন্দ্র কার্যত বিজেপিকে উদ্দেশ্য করেই এই কথা বলেছেন। কিন্তু সময় যত গড়িয়েছে সেই সম্ভাবনার দিকেই আমজনতার সমর্থন তত বেশি মিলেছে। কার্যত সেই সময় থেকেই শুরু হয়ে জিতেন্দ্র’র তৃণমূলে(TMC) প্রত্যাবর্তনের সম্ভাবনা নিয়ে জল্পনা। সেই জল্পনা যে মিথ্যে নয় তা আবার টুইট করে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন তৃণমূল নেতা ভি শিবদাসন দাশু। এবার পালা খোদ জিতেন্দ্র’র স্ত্রী চৈতালির(Chaitali Tiwari)। তিনি ‘দুয়ারে সরকার’ নিয়ে টুইট করে জিতেন্দ্র’র তৃণমূলে ফেরার জল্পনা আরও বাড়িয়ে দিলেন।
কী লিখেছেন চৈতালী? আসানসোল পুরনিগমের ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি কাউন্সিলর চৈতালি তিওয়ারি লিখেছেন, ‘রাজ্য সরকারের দুয়ারে সরকার শিবিরে গিয়ে সরাসরি বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের সুবিধে নিন।’ তবে এই টুইট লেখা হয়েছে হিন্দিতে। কিন্তু বিজেপির কাউন্সিলর হয়ে কেন তৃণমূলের সরকারের কর্মসূচিতে মানুষকে অংশ নেওয়ার কথা বলছেন চৈতালি? সেই প্রশ্নের উত্তর জানতে চৈতালির মুখোমুখি হতেই তাঁর সাফ জবাব, ‘বিজেপি বাংলায় ক্ষমতায় না এলেও রাজ্যের ২ কোটি ৩৮ লক্ষ মানুষ আমাদের ভোট দিয়েছেন। আর এই দুয়ারে সরকার রাজ্য সরকারের প্রকল্প, কোনও পার্টির প্রকল্প নয়। সরকার তো সবার। জনগণের করের টাকা রাজ্যের কোষাগারে জমা পড়েছে। তাহলে তাঁরা কেন রাজ্য সরকারের প্রকল্পের সুবিধে নেবেন না!’
যদিও বিষয়টি যে এত সহজ সরল নয়, সেটা সবাই বুঝছেন। আর এই কারণেই চৈতালির এই টুইট ঘিরে যেমন বঙ্গ বিজেপি অস্বস্তিতে পড়েছে তেমনি জিতেন্দ্র’র তৃণমূলে প্রত্যাবর্তনের জল্পনাও আরও বেশি জোরে ডানা মেলেছে। কেননা ভুললে চলবে না, আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে বিজেপির হারের পরে পরেই জিতেন্দ্র টুইট করে জানিয়েছিলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সামাজিক প্রকল্পের জন্য এই হার হয়েছে।’ এবার সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সামাজিক কর্মসূচিতেই বেশি করে অংশগ্রহণের জন্য টুইট করলেন চৈতালি। বরঞ্চ এখন এটা ক্রমশ পরিষ্কার হচ্ছে যে জিতেন্দ্র নিজে তো তৃণমূলে ফিরবেনই, সঙ্গে নিজ ঘরণীকেও টেনে আনবেন দিদি’র আঁচলের তলায়।