এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

কুলটির কয়লাখনিতে ভয়াবহ ধস, আটকে জন ২৫ কর্মী

নিজস্ব প্রতিনিধি: বার বার সতর্ক করা হয় ইসিএল(ECL) কর্তৃপক্ষের তরফে। কিন্তু সেই কথা শোনেন না কয়লা মাফিয়ারা(Coal Mafia)। নিরন্তর বেআইনি ভাবে তাঁরা বন্ধ করে দেওয়া কয়লা খনিতে চালিয়ে যান অবৈধ খনন(Illegel Minning)। আর তার জেরে খনির ভিতরে দুর্ঘটনা যেমন ঘটে তেমনি বাইরেও ধস নামার ঘটনা ঘটে। এই সব খননের সঙ্গে স্থানীয় বা ভিন রাজ্যের শ্রমিকদের যোগ থাকে। কিন্তু দুর্ঘটনার পরে পরেই সমস্ত কিছু অতন্ত দ্রুত গতিতে ধামাচাপা দিয়ে দেওয়া হয়। ফলে খনির ভেতরে দুর্ঘটনায় ঠিক কতজন মারা গিয়েছেন সেই তথ্যই মেলে না। কার্যত চিরকালের মতো নিখোঁজ হয়ে যান কিছু মানুষ যাদের একটা বড় অংশই যুবক বা নাবালক। রবি সকালে সেই রকমই ঘটনা ঘটে গেল পশ্চিম বর্ধমান(Paschim Burdhwan) জেলার আসানসোল(Asansol) মহকুমার কুলটি থানার(Kulti PS) বোডরা গ্রামে(Bodra Village)। সেখানে অবৈধ ভাবে একটি কয়লা খনিতে থেকে কয়লা কেটে বার করার সময়েই ভয়াবহ ধস নামে। আর তার জেরে ভেতরে খুব কম করেও জন ২৫ কর্মী আটকে আছেন বলে দাবি করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

আরও পড়ুন আপনার অজান্তেই আপনার আধারের সঙ্গে যুক্ত ফোন নম্বর বদলে যেতে পারে

জানা গিয়েছে, বোডরা গ্রামে বিসিসিএলের(BCCL) ১২ নম্বর হাজলা পিটে(Hajla Pit) গত কয়েকদিন ধরেই কয়লা কেটে বার করার কাজ চলছিল। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি ভিন রাজ্যের শ্রমিক এনে অবৈধ ভাবে কয়লা খাদানে ঢুকে সেখান থেকে কয়লা সরানোর কাজ চলছিল। এদিন সকালে সেই হাজলা পিটের বিস্তীর্ণ অংশে ধস নামে। সেই সময়ে ওই খনিত ভিতরে খুব কম করেও জন ২৫ মানুষ কাজ করছিলেন যারা যুবক বা নাবালক। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে পুলিশ এবং সিআইএসএফ। ঘটনাস্থলে গিয়েছেন কোলিয়ারির কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধিও। ঠিক কত জন খনির ভিতরে আটকে রয়েছেন, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কিন্তু এখন গোটা বিষয়টি নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন বিসিসিএল খনি কর্তৃপক্ষ।

আরও পড়ুন KMC’র কর্মীরা বছরে ১৩ মাসের মাইনে পাবেন

এদিনের ঘটনার জেরে লালন মেহরা নামে স্থানীয় বিজেপি(BJP) কাউন্সিলরের অভিযোগ, এই অবৈধ কয়লা কারবার নিয়ে প্রশাসন এবং কোলিয়ারি কর্তৃপক্ষের বহুবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তাঁরা। কিন্তু কোনও কাজ হয়নি। কাউন্সিলরের কথায়, ‘এখানে অবৈধ ভাবে কয়লা কারবার চলছে। কিন্তু কাউকে জানিয়েও কোনও কাজ হয়নি। পুলিশ ও প্রশাসনের সঙ্গে মিলে সিন্ডিকেটের মতো এই অবৈধ কাজ হয়। এখানে বেকারত্বের সমস্যা চূড়ান্ত। প্রতি দিন খাটাখাটি করে হয়তো সাকুল্যে ১০০ টাকা পান এই সব কর্মীরা। সেই সুযোগ নিয়ে কোটি কোটি টাকার ব্যবসা করেন কয়লা মাফিয়ারা।’ গ্রামবাসীদের অভিযোগ, এই ধরনের ঘটনার সঙ্গে খনি কর্তৃপক্ষের লোকজন যেমন জড়িত তেমনি জড়িত কেন্দ্রীয় বাহিনী ও ইসিএলেরও কিছু কর্মী ও আধিকারিক। কার্যত তাঁদের সঙ্গে গাঁটছাড়া বেঁধেই এইভাবে বিপজ্জনক ভাবে কাজ চালিয়ে যায় কয়লা মাফিয়ারা।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

মাধ্যমিকের ফলপ্রকাশ ২ মে, উচ্চমাধ্যমিকের ৮ তারিখ

বেনজির কাণ্ড, বীরভূমে বিজেপির হয়ে মনোনয়ন জমা দুই প্রার্থীর

ম্যাচ ফিক্সিংয়ের মতো বিজেপি ‘অর্ডার ফিক্সিং’ করছে, তোপ অভিষেকের

অভিজিৎকে নিশানা বানিয়ে দেবাংশুকে বড় দায়িত্ব দিলেন মমতা

তমলুকে মমতার নিশানায় অভিজিৎ, বাদ পড়লেন না বিকাশও

ফের দুয়ারে ভোট, শান্তিপুর-ফুলিয়ার তাঁত শিল্পীরা হতাশার অন্ধকারেই দিন কাটাচ্ছেন

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর