নিজস্ব প্রতিবেদক: ভয়ের স্তূপ থেকে ২২ জন উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীকে আগেই বের করে এনেছিল রাজ্য সরকার। সেই সঙ্গে তাঁদের দ্রুত স্বাভাববিক জীবনে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়াও শুরু করে দিয়েছিল রাজ্য সরকার। সেই প্রক্রিয়ার অঙ্গ হিসাবেই বকটুইয়ের(Boktui) ২২জন উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীকে রামপুরহাটে(Rampuhat) এনে পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছে রাজ্য প্রশাসন। শনিবার সকালে সেই ২২জন পরীক্ষার্থী রামপুরহাট গার্লস হাইস্কুলে পরীক্ষা দিতে যায়। পরীক্ষা শেষে পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে বেরিয়ে তাঁরা ধন্যবাদ দিল রাজ্য সরকারকে। সঙ্গে জানাল এই কঠিন সময়ে মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্য সরকার পাশে না থাকলে তাঁরা এবছর পরীক্ষা দিতেই পারত না। আর এই জন্যই তাঁরা ধন্যবাদ জানাচ্ছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে(Mamata Banerjee)। তাঁদের দাবি, ‘দিদির জন্য পরীক্ষা দিতে পেরেছি। ভয়ে পরীক্ষা দেওয়ার কথা ভুলে গিয়েছিলাম। দিদি এসে আমাদের রামপুরহাটে এনে পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। ওনাকে ধন্যবাদ। এই পরিস্থিতিতে পরীক্ষা দেওয়ার কথা ভাবতে পারিনি। প্রশাসনের উদ্যোগে নিশ্চিন্ত হয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে যেতে পারছি।’
বকটুই গ্রামের নৃশংস ঘটনার জেরে রাজ্য সরকারের পাশাপাশি বীরভূম জেলা প্রশাসনের তরফেও প্রচেষ্টা চলেছে নিরন্তর যাতে সেখানকার জনজীবন স্বাভাবিক ছন্দে ফিরে আসে। সেই প্রক্রিয়ারই অঙ্গ সেখানকার ২২জন উচ্চ মাধ্যমিক(Higher Secondary Exam) পরীক্ষার্থীকে নিরাপদে ও নির্বিঘ্নে পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করে দেওয়া। কার্যত জীবনের দ্বিতীয় বড় পরীক্ষা দিতে যাতে তাঁদের কোনওরকমের অসুবিধা না হয় তা দেখা হচ্ছে সব থেকে বেশি ভাবে। সেই কারণে ওই ২২জন ছাত্রীকে বকটুই গ্রাম থেকে বার করে এনে তাঁদের রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে রামপুরহাটেরই এক বেসরকারি বিদ্যালয়ের হোস্টেলে। সেখানেই প্রশাসনের তরফে থাকাখাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ওই হোস্টেল থেকেই বাস করে তাঁদের এদিন পরীক্ষাকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয় ও ফের পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে তাঁদের বাসে করে হোস্টেলে ফিরিয়ে আনা হয়। পরীক্ষা চলাকালীন পুরো সময়টাই ওই পরীক্ষার্থীদের ওই হোস্টেলে থাকার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে। এদিন পরীক্ষা দিতে যাওয়ার আগে ওই বেসরকারি বিদ্যালয়ের তরফে ২২জন পরীক্ষার্থীদের হাতে গোলাপ ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়।