নিজস্ব প্রতিনিধি, আলিপুরদুয়ার: গত ১৩ ই জানুয়ারি হাসিমারা এশিয়ান হাইওয়ে সংলগ্ন এলাকায় এক গর্ভবতী মহিলার নৃশংস খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল। ওই ঘটনার তদন্তে উঠে এল চাঞ্চল্যকর মোড়। সোমবার রাতেই জয়গাঁও থানার অন্তর্গত হাসিমারা ফাঁড়ির পুলিশ গ্রেফতার করল ওই মহিলা মজিদা বেগমের স্বামী একরামুল হক ও তাঁর বান্ধবী রহেলা সুলতানাকে। পুলিশি তদন্তে উঠে এসেছে, ১৩ জানুয়ারি রাত ৮টা নাগাদ একরামুল হক তাঁর ঘনিষ্ঠ বান্ধবীকে সঙ্গে নিয়ে নিজের গর্ভবতী স্ত্রী মজিদা বেগমকে ধারালো অস্ত্রের সাহায্যে গলার নলি কেটে খুন করে। এরপর প্রমান লোপাটের চেষ্টাও করেন। পুলিশের তদন্ত অন্যপথে চালিত করার জন্য দুষ্কৃতী হামলার নাটক করেছিল অভিযুক্ত স্বামী।
গর্ভবতী মহিলা খুনের ঘটনার ৫ দিনের মাথায় রহস্যের কিনারা করল হাসিমারা ফাঁড়ির পুলিশ। নিহতের স্বামী একরামুল হক ও তার প্রেমিকা রাহেলা সুলতানাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে রাহেলা সুলতানা মাদারিহাট এলাকার বাসিন্দা। রাহেলার ভাই বেশ কয়েকবছর ধরে একরামুল হকের অধীন ভুটানে ঠিকাদারি কাজে যুক্ত ছিল। সেই সুবাদে একরামুলের সঙ্গে রাহেলার পরিচয় হয়। প্রায় ৪ বছর ধরে তাঁদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। পুলিশের দাবি সেই প্রেমের জেরেই খুন হতে হয় ৮ মাসের গর্ভবতী মজিদা বেগমকে।
ঘটনার দিন অভিযুক্ত একরামুল হক তাঁর স্ত্রী মজিদা বেগমকে জয়গাঁওতে তাঁর দিদির বাড়ি ঘুরতে নিয়ে যায়। পরিকল্পনা মাফিক সেখান থেকে ফেরার সময় দলসিংপাড়া এলাকায় তাঁদের গাড়িতে রাহেলাও ওঠে। গাড়িটি হাসিমারা সংলগ্ন এশিয়ান হাইওয়ের নির্জন এলাকায় আসতেই পেছনের থেকে মজিদার গলায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলার নলি কেটে খুন করে অভিযুক্তরা। মঙ্গলবারই অভিযুক্তদের আদালতে হাজির করে পুলিশ। তাঁদের বিরুদ্ধে ৩৪১,৩২৬,৩০৭ ও ৩০২ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। উল্লেখ্য, সম্প্রতি ওই এলাকায় এক ট্রাফিক পুলিশের আধিকারিকের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। ওই আধিকারিক নিখোঁজ হওয়ার ৫ দিনের মাথায় তাঁর ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এখনও ওই ট্রাফিক আধিকারিকের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনার কিনারা করতে পারেনি পুলিশ।