নিজস্ব প্রতিনিধি: ফের রাজ্যে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটল। পূর্ব বর্ধমানে গলসিতে দুটি পৃথক ঘটনায় দু’জনের বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার বিদ্যুতের খুঁটিতে উঠে কাজ করতে বিদ্যুৎ দফতরের এক ঠিকা কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় আহত হয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিদ্যুৎ দফতরের আরও এক ঠিকা কর্মী। অন্যদিকে গলসিতে ওই দিন ক্ষেতমজুরের কাজ করতে গিয়ে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ঠিকা কর্মীর নাম সনৎ বাগদী। বিদ্যুতের খুঁটিতে উঠে কাজ করার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন তিনি। তাঁর সঙ্গে কাজ করছিলেন সুমন বাগদী নামে আরেক কর্মী। তিনিও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। সনৎ’এর মৃত্যু হলেও গুরুতর আহত অবস্থায় সুমনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পূর্ব বর্ধমানের গলসি থানা এলাকার খানোপুলের কাছে মাঠের মধ্যে থাকা একটি বিদ্যুতের খুঁটিতে কাজ করছিলেন দুই কর্মী। আচমকা তাঁরা বিদ্যুপৃষ্ট হন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বিদ্যুৎবাহী খুঁটির তারেই দুই কর্মীকে ঝুলতে দেখেন স্থানীয়রা। এরপর তড়িঘড়ি তাদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সনৎ বাগদীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসক। সুমনকে বর্ধমান হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, সেখানেই চিকিৎসা চলছে তাঁর।
অন্যদিকে গলসি থানার (Galsi Police Station) বেলান গ্রামে ক্ষেত মজুরের কাজ করতে গিয়ে মঙ্গলবার যে মহিলার মৃত্যু হয়েছে তাঁর নাম আরতি রুইদাস। ৫৫ বছর বয়স তাঁর। ধানের জমিতে কাজ করতে গিয়ে বিদ্যুৎপৃষ্ট (Electrocuted) হন ওই মহিলা। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার পর আশঙ্কাজনক অবস্থায়ত্তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তাঁর। স্থানীয়দের অভিযোগ, কাজ করার সময় বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে মাঠে পরে। আর তার জেরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন তিনি। মৃত আরতি রুইদাসের পরিবারের এক সদস্য জানান, ‘সকালে আরতি মাঠে কাজ করতে যায়, সেই সময় ওঁর গায়ের উপর বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে পড়ে। কয়েক মিনিট পর ওঁকে উদ্ধার করা হয়। তারপর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।’ প্রথমে আরতি দেবীকে আদড়াহাটী স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও পরে বর্ধমান হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।