নিজস্ব প্রতিনিধি, ঝাড়গ্রাম: ঝাড়গ্রাম স্টেশনে স্টপেজ নেই বন্দে ভারতের। অথচ ঝাড়গ্রামে রবিবার ঢাক ঢোল পিটিয়ে সূচনা অনুষ্ঠান হল বন্দে ভারতের। স্টেশনে অনুষ্ঠান এর আয়জন বন্দে ভারত ট্রেনকে ঘিরে। স্টপেজ নেই অথচ স্টেশনে প্রতিকি ট্রেন দাঁড় করিয়ে আদতে ঝাড়গ্রামবাসীকে বঞ্চনা করা হল বলে অভিযোগ। হতাশ ঝাড়গ্রামবাসী। রাঁচি – হাওড়া বন্দে ভারতের আজ আনুষ্ঠানিক সূচনা হয়। দক্ষিণ -পূর্ব রেল ডিভিশনের হাওড়া- টাটা শাখায়(Howarha – Tata Division) এটাই প্রথম বন্দে ভারত।
ফলে এই ট্রেনকে ঘিরে মানুষের মধ্যে উদ্দিপনা ছিলো চোখে পড়ার মতো। পরীক্ষ মূলক চালানোর সময় ঝাড়গ্রাম স্টেশনে(Jhargram Station) এক মিনিট স্টপেজ ও দেয় ট্রেনটি। ফলে ঝাড়গ্রামবাসী আশায় বুক বাঁধে হাইপ্রফাইল এই ট্রেন এর পরিষেবা পাওয়ার। এর পরেই অনুষ্ঠান সূচীতে দেখা যায় ২৪তারিখ ঝাড়গ্রামে রেলের তরফে সন্ধ্যাবেলা একাধিক অনুষ্ঠানেী আয়জন করা হয়েছে। রাঁচি থেকে যাত্র শুরু করে ঝাড়গ্রামে দাঁড়াবে ট্রেনটি। সেই ট্রেনে যাত্রা করতে চেয়ে স্টেশনে টিকিট কাটতে গিয়ে দেখা যায় ঝাড়গ্রামে স্টেপেজ নেই। রেলের টাইম টেবিলেও ঝাড়গ্রামে কোনো স্টপেজ নেই। শুধু প্রচার অনুষ্ঠানের জন্য রবিবার দিনেই দাড়ায় ট্রেনটি।
শুধুমাত্র অনুষ্ঠান করে প্রচার করার জন্য এই স্টপেজ। মানতে পারছেনা ঝাড়গ্রামবাসী। তাদের বক্তব্য তাদের সাথে ছলনা করল রেল। এমনিতেই করোনা পরবর্তী সময়ে একাধিক বাতিল ট্রেন আজ ও চালু হয়নি। লোকাল কে প্যাসেঞ্জার করে ভাড়া বাড়ানো হয়েছে। তার উপর ফের এই বঞ্চনা। অথচ ঝাড়গ্রাম পর্যটন মানচিত্রে জায়গা করার পরও রেল পরিষেবা সে ভাবে সুবিধাজনক হয়নি। বন্দেভারতকে(Vande Bharat) ঘিরে সেই জায়গায় কিছুটা আশার আালো দেখেছিলো ঝাড়গ্রাম বাসী। কিন্তু জুটলো শুধু বঞ্চনা। ঝাড়গ্রামের সাংসদ থেকে শুরু করে রেল কারো কাছেই এই অদ্ভুত সূচনা অনুষ্ঠানে কোনো উত্তর নেই।