এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

বিশ্বভারতীর মৃত ছাত্রের বাড়িতে অধ্যাপক-পডুয়া প্রতিনিধি দল

নিজস্ব প্রতিনিধি: বিশ্বভারতীর (Viswa Bharati) পাঠভবনের হস্টেলে ছাত্রের রহস্য মৃত্যু হয়েছিল। তা কেন্দ্র করে উত্তাল বিশ্বভারতী। রবিবার সেই ছাত্রের বাড়িতে পৌঁছয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও পড়ুয়ার দল। সাক্ষাৎ করেন মৃত ছাত্রের পরিবারের সঙ্গে। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার মৃত্যু (Death) হয়েছিল ওই ছাত্রের। মৃতের বাড়ি নানুরের বনগাঁ গ্রামে।

এদিন অধ্যাপক ও পড়ুয়াদের প্রতিনিধি দল মৃত ছাত্রের বাড়ির লোকের সঙ্গে কথা বলেন। প্রতিশ্রুতি দেন প্রকৃত রহস্য উদ্ঘাটনের। প্রতিনিধি দলের সামনে কান্নায় ভেঙে পড়েন মৃতের মা- বাবা। অভিযোগ, ছাত্রের রহস্য মৃত্যুর পর উপাচার্য দেখা করেননি। কথাও বলতে চাননি তিনি। পরিবারের আরও অভিযোগ, কী করে মৃত্যুর কারণ দেখিয়ে ডেথ সার্টিফিকেট দেওয়া হল, যেখানে মৃত্যুর কারণ নিয়েই রহস্য রয়েছে। পরিবার আসার আগেই ছাত্রের ডেথ সার্টিফিকেট কেন দেওয়া হল, তা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। এর আগে বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের নির্দেশে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল গিয়ে দেখা করেন মৃত ছাত্রের পরিবারের সঙ্গে। নেতৃত্বে ছিলেন মন্ত্রী তথা বোলপুরের বিধায়ক চন্দ্রনাথ সিংহ। উপ্সথিত ছিলেন নানুর ও সিউড়ির বিধায়ক বিধান মাঝি এবং বিকাশ রায়চৌধুরী। 

প্রসঙ্গত, বিশ্বভারতীর পাঠভবনে ছাত্র মৃত্যুকে কেন্দ্রকে কেন্দ্র করে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়। উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে অভিযোগ, ছাত্রের মৃত্যুর খবর জানানো হয়নি পরিবারকে। গত শুক্রবার বিক্ষোভ অবস্থানে যোগ দেন মৃতের বাবা ও ঠাকুমা। গত বৃহস্পতিবার বিকেল থেকেই উপাচার্যের ভবন ঘেরাও করে মৃতের পরিবার। ক্লাস বয়কট করেছেন শিক্ষার্থীরা। বন্ধ রয়েছে সমস্ত পাঠ বিভাগ।

বৃহস্পতিবার সকালে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র অসীম দাসের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছিল ছাত্রাবাস থেকে। অসীমের দেহ নামিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় পিয়ারসন হাসপাতালে। সেখানেই তাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। উপস্থিত ছিলেন উপাচার্যও। এরপরেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ক্যাম্পাস। চলে লাগাতার বিক্ষোভ। মৃতের পরিবার ও শিক্ষার্থীরা শুরু করেন অবস্থান। ইতিমধ্যেই শান্তিনিকেতন থানায় খুন, প্রমাণ লোপাট ষড়যন্ত্রের অভিযোগ দায়ের করেছেন মৃতের বাবা। অভিযোগের তির কর্তৃপক্ষের দিকে। শোকের ছায়া বিশ্বভারতী জুড়ে। সেই সঙ্গে চলেছে  বিক্ষোভ, প্রতিবাদ। পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, ঘটনার তদন্ত চলছে। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। আশ্রমিক ও প্রাক্তনীদের অভিযোগ, ছাত্রাবাসে (উত্তরশিক্ষা) নেই কোনও হস্টেল সুপার। ওয়ার্ডেন রয়েছেন ঠিকই তবে তা অস্থায়ী। কর্তৃপক্ষের চূড়ান্ত গাফিলতি থাকে সবদিন।

মৃত ছাত্র নানুর গ্রামের বনগ্রামের বাসিন্দা। দ্বিতীয় শ্রেণি থেকেই সে পড়াশোনা করত উত্তরশিক্ষা ছাত্রাবাসে থেকেই। বৃহস্পতিবার ভোর ৬ টা ৪৫ মিনিটে সকলে প্রার্থনা করতে গেলেও অসীম যায়নি। তারপর আসেনি ক্লাসেও। তাকে খুঁজতে ছাত্রাবাসে যায় সহপাঠীরা। দেখা যায়, ফ্যান থেকে ঝুলছে দেহ। এই ঘটনায় পরিকল্পিত খুনের অভিযোগ আনা হয়েছে। প্রশ্ন তোলা হয়েছে, কেন পুলিশ ডাকা হয়নি? পরিবারকে আগে কেন খবর দেওয়া হয়নি?

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

রাজ্যে দ্বিতীয় দফার নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন : আরিজ আফতাব

প্রচন্ড গরমের মধ্যে লাগাতার ১৫ দিন ধরে লোডশেডিং,প্রতিবাদে অবরোধ

চন্দননগরে প্রচারে গিয়েও প্রসিদ্ধ ‘জলভরা সন্দেশ’ চাখা হল না রচনার, কেন?

ইভিএম বিভ্রাট নিয়ে কমিশনকে চিঠি দিল তৃণমূল

সন্দেশখালিকাণ্ডে সিবিআই তদন্তকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য

‘সবচেয়ে বড় ভুলটা আমি করেছিলাম, তবে বিজেপি এবার আর ক্ষমতায় আসবে না’

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর