নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা(WBSEDL) প্রতি ৩ মাস অন্তর বাড়িতে বাড়িতে বিল(Electric Bill) পাঠায়। আগস্ট মাসেও তাঁরা বিদ্যুতের বিল পাঠিয়েছে। আর সেই বিল হাতে আসতেই অনেকেই দেখছেন, অনান্যবারের তুলনায় এবারে বিল প্রায় ৫ গুণ বেড়ে গিয়েছে হঠাৎ করেই। ফলে ক্ষোভ যেমন চরমে ওঠে তেমনি অনেক মানুষই বিপদের মুখেও পড়ে যান। তিন মাসে যাঁদের ৪০০০-৪৫০০ টাকা বিল আসত, তাঁদের ৯০০০ টাকা বিল এসেছে। সাধারণ পরিবারগুলো যেখানে ১৫০০ টাকা বিল মেটাতেন, তাঁদের ৩০০০-৪০০০ টাকা বিল এসেছে। এই অবস্থায় বিদ্যুতের বিল কেন বেশি এসেছে তা নিয়ে মুখ খুলের রাজ্যের বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা।
আরও পড়ুন পুরতালিকায় থেকেও গায়েব প্রায় ৬০ হাজার হকার
বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, আগস্ট মাসের বিল আদতে মে-জুন-জুলাই এই ৩ মাসের মোট বিল। এবার গ্ৰীষ্মে অস্বাভাবিক গরম ছিল। সেইসঙ্গে লাগাতার তাপপ্রবাহ চলেছে, যার জেরে বিদ্যুতের চাহিদা অনেকটাই বেড়ে যায়। গ্ৰাহকেরা গরমে বাড়তি বিদ্যুৎ খরচ করায় এখন বেশি টাকা গুনতে হচ্ছে। এর পাশাপাশি বাড়ানো হয়েছে Fixed Charge ও Minimum Charge। দুটি ক্ষেত্রেই বৃদ্ধির নেপথ্যে রয়েছে রাজ্য বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের নির্দেশ। গত মার্চ থেকে Fixed Charge ৫ গুণ বেড়ে গিয়েছে। যদিও ইউনিট প্রতি বিদ্যুতের দাম একই রাখা হয়েছে। আগে গ্রামীণ বা শহরের বাসিন্দাদের থেকে মাসে প্রতি কেভিএ (অর্থাৎ লোড বা বিদ্যুৎ সংযোগের পরিমাণ) বিদ্যুৎ ব্যবহারের জন্য স্থায়ী খরচের খাতে নেওয়া হত ১৫ টাকা। তা বেড়ে হয়েছে ৩০ টাকা। এ ছাড়া, সংযোগ থাকলেও বাড়িতে বিদ্যুতের ব্যবহার যদি খুব কম হয়, তা হলে যে ন্যূনতম চার্জ বিলে ধরা হতো, তাও মাসে ৫০ টাকা থেকে কিছুটা বেড়েছে। কারণ নতুন নির্দেশের প্রেক্ষিতে সেটিকে লোডের সঙ্গে তুলনা করে জোড়া হচ্ছে। অর্থাৎ, প্রতি মাসে প্রতি কেভিও লোডের ক্ষেত্রে দাম ৭৫ টাকা হয়েছে। আর তার জেরেই বিদ্যুতের বিলও বেশি এসেছে।