নিজস্ব প্রতিনিধি: কলকাতা পুরনিগমের(KMC) কাছে থাকা শহরদের হকার(Hawkers) তালিকা মিলিয়ে দেখতে গিয়ে বেশ বড়সড় গড়বড় নজরে আসে পুরআধিকারিকদের। দেখা যায় পুরনিগমের কাছে থাকা তালিকায় নাম থাকা প্রায় ৬০ হাজার হকারের কোনও সন্ধানই মিলছে না। ৫৯ হাজারের মধ্যে মাত্র ১৯ জন হকারের ঠিকঠাক সন্ধান মেলে। আর সেই জায়গাতেই প্রশ্ন ওঠে এতবড় গরমিল হয়ে গেল অথচ কেউ কিছু জানতেই পারল না! যদিও পরে দেখা যায় গলদ লুকিয়ে আছে অন্য জায়গায়। যিনি যে অঞ্চলের বাসিন্দা, সেই ওয়ার্ডে তাঁর নাম নথিভুক্ত হয়েছে। কিন্তু তিনি যে অঞ্চলে হকারি করেন, সেখানকার তালিকায় তাঁর নাম নেই। আর তাই পুরতালিকার সঙ্গে বাস্তবের হিসাব কিছুতেই মিলছিল না। এখন নতুন করে আবারও তালিকা করা হচ্ছে ওয়ার্ড ধরে ধরে। অর্থাৎ যিনি যে ওয়ার্ডে হকারি করেন তাঁকে সেই ওয়ার্ডের হকার বলেই চিহ্নিত করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন যাদবপুরে পড়ুয়া মৃত্যুর ঘটনায় মুখ খুললেন বিধায়ক তন্ময় ঘোষ
পুরসভা। ২০১৫ সালে ৫৯ হাজার হকারের যে তালিকা তৈরি হয় সেই তালিকা ধরে সম্প্রতি কলকাতা পুরনিগম কর্তৃপক্ষ নতুন করে সমীক্ষা করেছিল। সেখানেই দেখা যায় ওই ৫৯ হাজার হকারের মধ্যে ঠিকঠাক ভাবে মাত্র ১৫-২০ জনের সন্ধান মিলছে। বাকিদের কোনও হদিশই নেই। এই ঘটনায় বেশ অবাক হন পুরকর্তারা। পরে দেখা যায়, গণ্ডগোলটা অন্য জায়গায়। ৫৯ হাজার হকারের তালিকা তৈরি হওয়ার পর, তা পরে ওয়ার্ডভিত্তিক করা হয়। পুলিশের সহযোগিতায় সেই ওয়ার্ড বা থানাভিত্তিক তালিকা তৈরি করতে গিয়ে পুরো বিষয়টি তালগোল পাকিয়ে গিয়েছে। যিনি যে অঞ্চলের বাসিন্দা, সেই ওয়ার্ডে তাঁর নাম নথিভুক্ত হয়েছে। কিন্তু তিনি যে অঞ্চলে হকারি করেন, সেখানকার তালিকায় তাঁর নাম নেই। যেমন পুরনিগমের কাছে তালিকা বলছে, গড়িয়াহাটে হকারি করছেন এমন মানুষের সংখ্যা প্রায় ৬০০। অথচ সেখানে খোঁজ মিলেছে মাত্র ১৫ জনের! ফলে যাদের সন্ধান মিলছিল না তাঁদের অস্তিত্ব নেই বলে ধরে নেওয়া হয়েছিল। বিষয়টি কানে যায় মেয়র(Mayor) ফিরহাদ হাকিমেরও(Firhad Hakim)।
আরও পড়ুন উপনির্বাচনের মুখ ফিরল মহকুমার দাবি, নজরে ধূপগুড়ি
এরপর তাঁর নির্দেশে নতুন করে তালিকা খতিয়ে দেখতে শুরু করেন পুরআধিকারিকেরা। আর সেখানেই দেখা যায়, অন্য জায়গার বাসিন্দা হওয়ায়, অনেক হকারদের নাম অন্য ওয়ার্ড বা থানার তালিকায় ঢুকে গিয়েছে। ফলে, গড়িয়াহাটে তাঁদের অস্তিত্ব নেই বলে মনে হচ্ছে। যদিও তাঁরা আছেন। সব থেকে বড় কথা কলকাতায় যারা হকারি করেন তাঁদের বেশির ভাগই আসেন রাজ্যের নানা জেলা থেকে। এখন দেখা যাচ্ছে পুরতালিকায় তাঁদের নাম থাকলেও বাস্তবে তা মিলছে না। কেননা তাঁদের নাম ঢুকে বসে রয়েছে সেই সব জেলার তালিকায় যেখানে তাঁদের বাড়ি। এবার এই সব তালিকা নতুন করে তৈরি করা হচ্ছে।