নিজস্ব প্রতিনিধি: আশঙ্কা ছিল তাপপ্রবাহের(Heat Wave)। তার মুখে পড়তে পারত রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চলের ৪ জেলা। তার রেশ ছড়াতো আরও ৭-৮টি জেলাতেও। কিন্তু এখন আপাতত বাংলার(Bengal) বুকে তাপপ্রবাহের কোনও সম্ভাবনা নেই। এমনকি সম্ভাবনা নেই কোনও কালবৈশাখী(Kalbaishakhi) ঝড়ের। যার নিট অর্থ বাংলার মানুষকে এখন ভ্যাবসা গরম সহ্য করতে হবে। মন্দের ভালো পারা খুন একটা এখনই চড়বে না বঙ্গে। সত্যি কথা বলতে কি, বাংলায় যেমন আর শীতের দাপটের দেখা মেলে না, তেমনি এবার গ্রীষ্মেও কালবৈশাখীর দেখা মিলছে না। সাধারন মার্চ মাসের শেষের দিকে কলকাতা(Kolkata) ও শহরতলি এলাকায় একটা অন্তত কালবৈশাখীর দেখা মেলে। অথচ গোটা মার্চ পেরিয়ে এদিন থেকে যখন এপ্রিল মাস পড়ে গেল তখনও কলকাতার বুকে কালবৈশাখীর দেখা মেলেনি। কবে সেই সাক্ষাত মিলবে তাও জোর গলায় বলতে পারছে না আবহাওয়া দফতর।
শুক্রবার আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এদিন উত্তরবঙ্গের(North Bengal) সব জেলাতেই ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সেই ঝড়বৃষ্টির হাত ধরে উত্তরবঙ্গে পারা চড়ার দৌড় আপাতত থামতে চলেছে। সেই ঝড়বৃষ্টির রেশ এদিন কিছুটা হলেও পড়তে পারে বীরভূম, মুর্শিদাবাদ ও নদিয়া জেলায়। তবে ও ই ৩ জেলায় বৃষ্টি খুব একটা বেশি হবে না। বাকি দক্ষিণবঙ্গে ঝড়বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনাই নেই। পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রাম জেলায় যে তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা ছিল তাও এখন আর হচ্ছে না। সেই তাপপ্রবাহ বয়ে এলে দক্ষিণবঙ্গে কালবৈশাখী তৈরি হওয়ার একটা সম্ভাবনা থাকত। কিন্তু এখন সেই সম্ভাবনা দূর অস্ত। এখন প্রায় রোজই কলকাতায় সকালের দিকে মেঘ করছে। হালকা ঠাণ্ডা হাওয়া গায়েও লাগছে। কিন্তু বেলা গড়ালেই ছবিটা বদলে যাচ্ছে। চড়চড়িয়ে রোদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে পারাও। কিন্তু বৃষ্টির দেখা নেই। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই এখন এইরকমই আবহাওয়া থাকবে। তবে পারা এখন আর খুব একটা চড়বে না কলকাতা বা দক্ষিণবঙ্গের বুকে।