নিজস্ব প্রতিনিধি: ভিটামিন, মিনারেলস, প্রোটিন। কি নেই ডিমে! মানসিক হোক বা শারীরিক, সবক্ষেত্রেই উপকারিতা রয়েছে। আর এ নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে প্রতিবছর ৮ অক্টোবর ‘বিশ্ব ডিম দিবস’ পালন করা হয়। আর এই দিনেই নতুন লক্ষ্য স্থির করল পশ্চিমবঙ্গ পশ্চিমবঙ্গ প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন নিগমের। চাহিদা অনুযায়ী ডিমের উৎপাদন বাড়িয়ে সুলভমূল্যে মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়াই কর্পোরেশনের প্রধান লক্ষ্য।
ডিমে রয়েছে হাই ডেনসিটি লিপোপ্রোটিন বা উপকারী কোলেস্টেরল। যা হৃদরোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। একইসঙ্গে দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধির জন্য দারুণ উপকারী ডিম। ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডের ঘাটতি পূরণ করে ডিম। মস্তিষ্ক সচল রাখতেও সাহায্য করে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ডিমই সবথেকে পুষ্টিকর খাবার। প্রতিদিন যদি পাতে একটা করে ডিম থাকে, তাহলে যাবতীয় পুষ্টির ঘাটতি দূর হয়। কিন্তু অনেকেরই ডিমে এলার্জি। অনেকে আবার ডিম খেতে ভালবাসেন না। তা সত্ত্বেও রাজ্যে ডিমের চাহিদা অত্যন্ত বেশি।
পশ্চিমবঙ্গ প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন নিগমের এক আধিকারিক সুদীপ সাহু জানান, রাজ্যে যে পরিমাণ ডিমের চাহিদা রয়েছে, সেই তুলনায় উৎপাদন কম। যে কারণে প্রতিদিন ১ কোটি ডিম ভিনরাজ্য থেকে আনা হয়। কর্পোরেশনের লক্ষ্য, আগামী দু’বছরের মধ্যে ওই ঘাটতি পূরণ করা। যাতে আর ১টিও ডিম বাইরে থেকে না আনতে হয়। নদিয়ার কল্যাণী লেয়ার ফার্মে বর্তমানে তিন লক্ষের লেয়ার রয়েছে। যেখানে মুরগী ডিম পাড়ে। আগামীতে আরও তিন লক্ষ লেয়ার বাড়ানো হচ্ছে। সারাবছর এখানে ডিমের দাম সাড়ে চার টাকা। একদিকে কল্যাণীর লেয়ার ফার্ম যেমন পরিবেশ বান্ধব, তেমনই ডিম বাজারজাত করতে যে ট্রে-কার্টুন ব্যবহার করা হয়, সেগুলি পুনরায় ব্যবহার করা হয় না বলেই জানালেন ওই আধিকারিক।