নিজস্ব প্রতিনিধি: টানা তিনদিন বাদে রাজ্যে করোনার দৈনিক সংক্রমণ ও শনাক্তের হার স্বস্তি দিল। গত ২৪ ঘন্টায় দৈনিক সংক্রমণ আগের দিনের তুলনায় শুধু নিম্নমুখীই নয়, তিন দিন বাদে দৈনিক সংক্রমণ পঞ্চাশের গণ্ডির নিচে নামল। নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৪০ জন। শনাক্তের হার কমে দাঁড়িয়েছে শূন্য দশমিক ৫০ শতাংশে। পাশাপাশি স্বস্তি দিয়েছে দৈনিক মৃত্যুর পরিসংখ্যান। মারণ ভাইরাসের ছোবলে নতুন করে কেউ প্রাণ হারাননি। অ্যাকটিভ কেসের সংখ্যাও আগের দিনের চেয়ে কমেছে।
গত বৃহস্পতিবার থেকেই রাজ্যে করোনার দৈনিক সংক্রমণ ও শনাক্তের আচমকা ইউটার্ন নিয়ে ঊর্ধ্বমুখী হয়ে ওঠে। ওই দিন নতুন করে সংক্রমিত হয়েছিলেন ৪২ জন। আর পজিটিভিটি রেট ছিল শূন্য দশমিক ৪৭ শতাংশ। পরের দিন অর্থাৎ শুক্রবার একদিনে আক্রান্ত হয়েছিলেন ৫০ জন। সংক্রমণ হার বেড়ে দাঁড়িয়েছিল শূন্য দশমিক ৫৪ শতাংশ। শনিবার সংক্রমণ আরও ঊর্ধ্বমুখী হয়ে দাঁড়ায়। নতুন করে ৫৭ জনের শরীরে মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছিল। দৈনিক শনাক্তের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছিল শূন্য দশমিক ৬৯ শতাংশে।
রবিবার রাতে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে প্রকাশিত করোনা বুলেটিনে জানানো হয়েছে, ‘গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে আরও ৮ হাজার ৮০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। নয়া নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার অর্থাৎ পজিটিভিটি রেট দাঁড়িয়েছে শূন্য দশমিক ৫০ শতাংশে। নতুন করে আরও ৪০ জনের শরীরে প্রাণঘাতী ভাইরাসের নমুনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে রাজ্যে করোনায় আক্রান্ত হলেন ২০ লাখ ১৮ হাজার ৮৬০ জন। নতুন করে কারও মৃত্যু না হওয়ায় মারণ ভসাইরাসের মৃত্যুমিছিল ২১ হাজার ২০৩ জনেই থমকে রয়েছে।
দৈনিক সংক্রমণ ও শনাক্তের হারের পাশাপাশি কিছুটা হলেও স্বস্তি দিয়েছে অ্যাকটিভ কেসের সংখ্যা। স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য অনুযায়ী, ‘গত ২৪ ঘন্টায় মারণ ভাইরাসকে হারিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৪৫ জন। এ নিয়ে এদিন সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা পর্যন্ত রাজ্যে করোনাকে জয় করলেন ১৯ লাখ ৯৭ হাজার ২৪১ জন। সুস্থতার হার ৯৮ দশমিক ৯৩ শতাংশ। একদিনে অ্যাকটিভ কেসের সংখ্যা কমেছে পাঁচটি। যার ফলে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৪১৬ জনে।