নিজস্ব প্রতিনিধি: শুনতে অবাক লাগলেও সত্যি। স্ত্রীর শরীরের খিদে মেটাতে ব্যার্থ স্বামী। স্ত্রী কাছে পেতে চাইলেও তাঁর হাতে ধরা দিতে নারাজ মদ্যপ স্বামী। আর তার জেরেই রাগের জেরে স্বামীর পুরুষাঙ্গই কচাত করে কেটে দিল স্ত্রী। এমনই চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে উত্তরবঙ্গের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুমারগঞ্জ থানার মোহনা গ্রাম পঞ্চায়েতের গোবিন্দপুর গ্রামে। যদিও ঘটনাটি ঘটেছে গত বিজয়া দশমীর রাতে। ঘটনার জেরে রীতিমত শোরগোল পড়ে গিয়েছে এলাকায়। কোনও স্ত্রী যে রাগের মাথায় স্বামীর ইয়ে কেটে দিতে পারে সেটাই এখনও অনেকে বিশ্বাস করে উঠতে পারছেন না।
জানা গিয়েছে, স্বামীর নাম লোকনাথ মার্ডি আর তার বউয়ের নাম রিবিকা হাঁসদা। এই রিবিকাই এখন স্বামীর পুরুষত্বহরণের অপরাধে কাঠগড়ায় উঠেছে। ঘটনার নেপথ্যে লোকনাথের নিয়মিত মদ্যপান আর তার জেরে রাতে ঘরে ফিরে নেশাগ্রস্থ হয়ে পড়ে থাকা। ফলে রিবিকার শরীরের চাহিদা মেটাবার দিকে কোনও মনই দেয়নি লোকনাথ। আর দিনের পর দিন ধরে এই ঘটনা ঘটে চলায় দশমীর রাতে স্বামীকে জোর করেই কাছে টেনেছিল রিবিকা। কিন্তু মদে বেঁহুশ লোকনাথ সে ডাকে সাড়া দিতে অক্ষম ছিল। আর তার জেরেই রাগের বশে ঘুমন্ত স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে দিতে কাঁচি চালায় রিবিকা। চরম যন্ত্রনায় লোকনাথ চিৎকার শুরু করলে ছুটে আসে প্রতিবেশী ও পরিবারের অনান্য লোকেরা। তাঁরাই লোকনাথকে প্রথমে বালুরঘাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল ও পরে শিলিগুড়ির উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যায়। বর্তমানে সেখানেই তাঁর চিকিৎসা চলছে।
ঘটনার জেরে লোকনাথের বাবা লক্ষণ মার্ডি জানিয়েছেন, ‘এমন দজ্জাল মেয়েমানুষ কোথাও দেখেনি। আমার ছেলের পুরুষাঙ্গটা কেটে দিল। ওর জীবনটাই নষ্ট করে দিল। আমি বউমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছি থানায়। ওর কড়া শাস্তি চাই।’ ঘটনার জেরে এরপরেই রিবিকা থানায় আত্মসমর্পণ করে। বৃহস্পতিবার তাঁকে বালুরঘাট আদালতে তোলাও হয়। তবে এই ঘটনার সব থেকে বড় প্রভাব পড়েছে এলাকাবাসীর মধ্যে। তাঁদের মুখে মুখে এখন একটাই কথা, মেয়েমানুষকে আর করো না উপেক্ষা। করলেই কিন্তু কচাত।