নিজস্ব প্রতিনিধি: আদালতের রায়ে চাকরি গিয়েছে তরুণীর। হারিয়েছেন শিক্ষিকার পদ। চাকরি যাওয়ার পাশাপাশি হারিয়ে যেতে চলেছে প্রেমিকও। শুধু প্রেমিক না হবু বর। অগত্যা ধরনায় বসেছেন তরুণী। ঘটনা কোচবিহারের।
কোচবিহার জেলার মাথাভাঙা মহকুমার বাসিন্দা ওই তরুণী। তাঁর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল নিশিগঞ্জের এক তরুণের। জানা গিয়েছে, সম্পর্ক ছিল প্রায় ৫ বছরের। তরুণ ও তরুণী ২ জনেই পেশায় শিক্ষক- শিক্ষিকা (TEACHER)। তবে নিয়োগ দুর্ণীতি মামলায় চাকরি গিয়েছে তরুণীর। এরপরেই প্রেমিকাকে এড়িয়ে চলতে শুরু করেন প্রেমিক। তাঁদের বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। তার আগেই আদালতের নির্দেশে তরুণীর চাকরি যাওয়াতেই, এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রেমিক।
দুকূল হারাতে নারাজ তরুণী। তাই সোমবার রাত থেকে ধর্ণায় বসেছেন তরুণী। ধরণায় বসেছেন প্রেমিকের বাড়ির সামনেই। আর তা জানতে পেরেই ‘বেপাত্তা’ স্থানীয় কলেজের শিক্ষক, ওই প্রেমিক। এদিকে ‘নাছোড়বান্দা’ তরুণীও। বিয়ে না করলে তিনি ধরণা তুলবেন না বলে সাফ জানিয়েছেন। আপাতত, প্রেমিকের বাড়িতে উঠতে হয়েছে তাঁকে। কারণ প্রাকৃতিক দুর্যোগ।
তরুণী জানিয়েছেন, সোমবার তাঁকে দেখা করতে ডেকেছিলেন প্রেমিক। তিনি এলে হঠাৎ বিয়ে করতে অস্বীকার করা শুরু করেছিলেন প্রেমিক। এদিকে তরুণের দাবি, তাঁর সঙ্গে আদৌ প্রেমের সম্পর্ক (AFFAIR) ছিল না তরুণীর। তিনি আরও বলেন, পূর্ব পরিচিত দাবি মিথ্যে। ঘটককে দিয়ে পাত্রী দেখা চলছিল। একপ্রস্থ কথা হয়েছিল তবে বিয়ে ঠিক হয়নি। বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগের জন্য মানবিকতার খাতিরে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে তরুণীকে। তবে এই ঘটনায় এলাকা জুড়ে ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য। আদৌ প্রেমের সম্পর্ক ছিল কি না, তা জানা যায়নি।