নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: বিজেপি ছেড়ে ভাগ্যান্বষণে নাম লিখিয়েছিলেন কংগ্রেসে। আচমকাই সোনিয়া গান্ধির দল ছেড়ে ঘাসফুল শিবিরে নাম লিখিয়েছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শত্রুঘ্ন সিনহা। আর তৃণমূলে নাম লেখানোর কয়েক ঘন্টার মধ্যেই পুরস্কার হিসেবে মিলেছে আসানসোল লোকসভা আসনের প্রার্থীপদ। বিহারিবাবুর দলবদল সম্পর্কে কাকপক্ষীতেও কিছু টের পায়নি। এই প্রথম দলবদল নিয়ে মুখ খুললেন আসানসোল লোকসভা আসনের তৃণমূল প্রার্থী। সেই সঙ্গে ফাঁস করে দিলেন, তাঁর দলবদলের পিছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনকারী দুজনের নাম। কারা তাঁরা জানেন? একজন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সহসভাপতি যশবন্ত সিনহা ও অন্যজন ঘাসফুল শিবিরের ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর।
বাজপেয়ী জমানায় কেন্দ্রের জাহাজ মন্ত্রীর দায়িত্ব সামলেছিলেন বিহারিবাবু। যদিও বিজেপিতে নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহ জমানা শুরু হওয়ার পরেই কোনঠাসা হয়ে পড়েন একদা বলিউড কাঁপানো অভিনেতা। শেষ পর্যন্ত অবশ্য বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে নাম লিখিয়েছিলেন। তবে সোনিয়া গান্ধির দলের দুঃসময়ে নিজের রাজনৈতিক কেরিয়ারকে তেমন এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেননি পটনা সাহিবের প্রাক্তন সাংসদ।
শেষ পর্যন্ত অবশ্য ‘হাত’ শিবিরের সঙ্গে সম্পর্ক চুকিয়ে ঘাসফুল শিবিরে নাম লিখিয়েছেন শটগান সিনহা। আর তাঁর এই দলবদলের নেপথ্যে যে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি যশবন্ত সিনহা ও ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে, এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তা ফাঁস করে দিয়েছেন আসানসোল লোকসভা আসনের উপনির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী। তাঁর কথায়, ‘দীর্ঘদিন ধরেই যশবন্ত সিনহাজি ও প্রশান্ত কিশোর আমাকে বুঝিয়ে চলেছিলেন, কংগ্রেসের কোনও ভবিষ্যত নেই। বিজেপির বিরুদ্ধে লড়তে গেলে তৃণমূল কংগ্রেসই বিকল্প। তাই তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলাম। ওঁরা দুজন না বোঝালে আমি হয়ত কংগ্রেসের থাকতাম।’