নিজস্ব প্রতিনিধি: ভারতে এখন সবকাজেই ব্যবহৃত হয় আধার কার্ড। বড়দের জন্য রয়েছে ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (UIDAI) দ্বারা জারি করা এই ১২ সংখ্যার কার্ডে নানা তথ্য রয়েছে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির নাম, ঠিকানা, ফোন নম্বর, জন্ম-তারিখ, ডিএনএ স্ক্যান সহ একাধিক বিষয়। প্রত্যেক ভারতীয়’র গুরুত্বপূর্ণ তথ্য রয়েছে এই আধার কার্ডে। ভোটার কার্ড ছাড়াও এই আধারই অন্যতম প্রমাণপত্র। কিন্তু দেশে রয়েছে আরও একটি কার্ড যা আধারের কাজেই ব্যবহার করা হয়। যার পোশাকি নাম ব্লু আধার কার্ড। তবে সেটা সকলের জন্য নয়।
UIDAI পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের জন্য চালু করেছে ‘বাল আধার’ বা ব্লু আধার কার্ড। নবজাতক থেকে পাঁচ বছরের কম বয়সীদের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার চালু করেছে ব্লু আধার কার্ড। প্রাপ্তবয়স্ক ও পাঁচ বছরের উপরের জন্য আধার কার্ড রয়েছে। ব্লু আধার কার্ড কম বয়সী শিশুদের পরিচয়ের প্রমাণপত্র হিসেবে এই নীল রঙের ‘বাল আধার’ কার্ডটিকে ব্যবহার করা যাবে। যেহেতু ১৮ বছরের নীচের বয়সীদের ভোটার কার্ড নেই। পরিচয় পত্র বা প্রমাণপত্র হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে এই ব্লু আধার কার্ড। যখনই পাঁচবছর বয়স অতিক্রম হবে শিশুটির তখনই বাতিল হয়ে যাবে ব্লু আধার কার্ড।
এই আধার কার্ড পেতে কীভাবে আবেদন জানাবেন?
শিশুর পিতামাতাকে তাদের নিকটবর্তী আধার এনরোলমেন্ট সেন্টারে গিয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, যেমন – বাসস্থানের সংশাপত্র এবং সন্তানের জন্ম শংসাপত্র দেখাতে হবে। সন্তানের ব্লু আধার কার্ডের জন্য পিতামাতাকে অ্যাপ্লিকেশন ফর্মটি ফিল-আপ করতে হবে, এবং সেইসঙ্গে নিজেদের আধার কার্ড সহ যাবতীয় প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস জুড়ে দিতে হবে। সন্তানের ব্লু আধার কার্ডের রেজিস্ট্রেশনের জন্য বাবা-মাকে একটি মোবাইল নম্বর আধার এনরোলমেন্ট সেন্টারে সাবমিট করতে হবে। আধার এনরোলমেন্ট সেন্টারের কর্মকর্তা শিশুটির একটি ছবি তুলবেন। UIDAI-এর কর্মকর্তারা যাবতীয় ডকুমেন্টগুলি স্ক্রুটিনি করবেন। স্ক্রুটিনি পর্ব মিটে যাওয়ার পর বাবা-মায়ের জমা দেওয়া মোবাইল নম্বরে একটি টেক্সট মেসেজ যাবে। সেই মেসেজটি পাওয়ার ৬০ দিনের মাথায় সংশ্লিষ্ট শিশুর ব্লু আধার কার্ড চলে আসবে পোস্ট অফিসের মাধ্যমে।