নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সুযোগ্য নেতৃত্বে ক্রমশই খালি হচ্ছে বিদেশি মুদ্রার ভাঁড়ার। শুক্রবার ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ২১ অক্টোবর শেষ হওয়া সপ্তাহে ভারতীয় বিদেশি মুদ্রার ভাণ্ডার ৩ দশমিক ৮৪৭ বিলিয়ন ডলার হ্রাস পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৫২৪ দশমিক ৫২ বিলিয়ন ডলারে। ২০২০ সালের সালের জুলাই মাসের পরে এটাই সর্বনিম্ন বিদেশে মুদ্রার ভাঁড়ার। যেভাবে বিদেশি মুদ্রার ভাণ্ডার তলানিতে গিয়ে ঠেকছে তাতে আর্থিক বিধিনিষেধ জারি ছাড়া সঙ্কট থেকে উত্তরণের কোনও পথ নেই বলে মনে করছেন আর্থিক বিশেষজ্ঞরা।
রিজার্ভ ব্যাঙ্কের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ভারতের বিদেশি মুদ্রার ভাণ্ডার ৬৪০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছিল। এক বছর আগে অক্টোবর মাসে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ৬৪৫ বিলিয়ন ডলারে। কিন্তু তার পর থেকেই বিদেশি মুদ্রার ভাঁড়ার খালি হতে শুরু করেছে। শুধু বিদেশি মুদ্রার ভাণ্ডারই নয়, মজুত সোনার ভাণ্ডারও খালি হতে শুরু করেছে। পরিস্থিতি যা তাতে সাত থেকে আট মাসের আমদানি খরচ মেটানো যাবে।
গত ১৪ অক্টোবর শেষ হওয়া সপ্তাহে আগের সপ্তাহের তুলনায় দেশের বিদেশি মুদ্রার ভাণ্ডার সাড়ে চার বিলিয়ন ডলার কমে দাঁড়িয়েছিল ৫২৮ দশমিক ৩৭ বিলিয়ন ডলারে। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের এক আধিকারিকের কথায়, প্রতি মাসে ১৫ থেকে ১৮ বিলিয়ন ডলার করে বিদেশি মুদ্রার ভাণ্ডার হ্রাস পাচ্ছে। ফলে আমদানি কমিয়ে রফতানি বৃদ্ধির দিকে নজর না দিলে শ্রীলঙ্কার মতো আর্থিক বিপর্যয়ের মুখোমুখি হতে হবে। বিলাস বহুল পণ্য আমদানির উপরে অবিলম্বে কয়েক মাসের জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করা উচিত।