নিজস্ব প্রতিনিধি: সামনেই উৎসবের মরশুম। কিন্তু আম জনতার চিন্তা এখন দ্রব্যমূল্যবৃদ্ধি। একদিকে সাধারণ ভোগ্যপণ্য়ের দাম যেমন বাড়ছে, অন্যদিকে আনাজপাতি ও ভোজ্যতেলের দাম বাড়ার আশঙ্কা তৈরি হল। বিশেষজ্ঞদের দাবি, ঘূর্ণিঝড় গুলাবের কারণে গত সপ্তাহে মহারাষ্ট্রে স্বাভাবিকের তুলনায় প্রায় চারগুণ বেশি বৃষ্টি হয়েছে। দক্ষিণ গুজরাট ও সৌরাষ্ট্রেও প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়েছে। এলাকাভিত্তিক ৫৪ থেকে ২১৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। সাধারণত পেঁয়াজ, তুলো, আখ, সয়াবিন, ডাল উৎপাদনের জন্য এই এলাকাগুলি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ দেশের এই এলাকাগুলিতেই মূলত খারিফ ফসলের উৎপাদন হয়। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় ও অতিবৃষ্টি ওই সমস্ত খারিফ ফসলের প্রচুর ক্ষতি করতে পারে।
ঘূর্ণিঝড় গুলাব-এর রেশ কাটতে না কাটতেই আরেক ঘূর্ণিঝড় শাহিন নিয়ে সতর্ক করল আবহাওয়া অফিস। বর্ষার বিদায়ের ঠিক মুখেই এই দুই ঘূর্ণিঝড় ও মাত্রাতিরিক্ত বৃষ্টিতে খারিফ ফসলের প্রচুর ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা করছেন চাষিরা। মহারাষ্ট্র, গুজরাতের পাশাপাশি ওডিশা, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানাতেও খারিফ ফলনের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে অতিবৃষ্টির জেরে। এরফলে খাদ্যপণ্য়ের দাম বাড়তে শুরু করেছে ইতিমধ্য়েই। এখনই ডাল ও ভোজ্যতেলের দাম আকাশছোঁয়া। ব্যবসায়ীদের অনুমান, উৎসবের মরশুমে তা আরও বাড়বে।
ব্যবসায়ীদের দাবি, ভারতে এমনিতেই তৈলবীজ ও ভোজ্যতেলের উৎপাদন প্রয়োজনের তুলনায় কম। প্রতিবছরই বিদেশ থেকে আমদানী করতে হয়। এবার অতিবৃষ্টির জেরে উৎপাদন আরও কমে গিয়েছে। ফলে আরও বেশি পরিমান আমদানি করতে হবে ভোজ্যতেল। তাই দাম বাড়ার আশঙ্কা তীব্র হচ্ছে। অপরদিকে, সয়াবিন প্রসেসরস অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়ার তরফে জানানো হয়েছে, এ বছর এক কোটি টনেরও বেশি সয়াবিন উৎপাদনের আশা করা হয়েছিল। কিন্তু, অকাল ঝড়বৃষ্টিতে প্রচুর ক্ষতি হয়ে গিয়েছে। তাই তেলের দামও বাড়বে বলে মনে করছে এই ব্যবসায়িক সংগঠন।