নিজস্ব প্রতিনিধি: দেশের ব্যস্ততম রেলস্টেশনগুলির মধ্যে অন্যতম নতুন দিল্লি। একদিকে দেশের রাজধানী শহর, অন্যদিকে জনসংখ্যার নিরীখেও এই শহরের স্থান উপর দিকে। তাই প্রতিদিন কয়েকশো দূরপাল্লার ট্রেন এই স্টেশন দিয়ে যাতায়াত করে। এবার এই নতুন দিল্লি রেলস্টেশনের ভোল পাল্টে দিতে চলেছে রেলমন্ত্রক। সূত্রের খবর, নতুন দিল্লি রেলস্টেশনের উপর বসবে দুটি গম্বুজ আকৃতির স্থাপত্য। যা স্টেশনটির সৌন্দর্য্য আরও বাড়িয়ে তুলবে বলেই মনে করছেন রেলকর্তারা। জানা যাচ্ছে, ৪৫০ মিটার দীর্ঘ ও ৮০ মিটার উচ্চতার দুটি গম্বুজ আকৃতির স্থাপত্য বসানো হবে পুরো স্টেশন বিল্ডিংয়ের মাথায়। এটি ভারতীয় রেলের স্টেশন পুনর্নির্মান প্রকল্পের অন্তর্গত। এই উচ্চাকাঙ্খী প্রকল্পের মূল খরচ ধরা হয়েছে ৪,৪৭০ কোটি টাকা। রেল সূত্রের খবর, এটি হাইব্রিড বিওটি (বিল্ড অপারেট অ্যান্ড ট্রান্সফার) মডেল হতে চলেছে।
নতুন দিল্লি স্টেশনের পুনর্নির্মান প্রকল্পটির নকশা তৈরি করেছে আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন এক বেলজিয়াম-ভিত্তিক পরামর্শদাতা সংস্থা। এখানে তৈরি হবে ২৫ তলা উঁচু দুটি গম্বুজ (Twin Dome) , যা ইনফিনিটি টাওয়ার (Infinity Towers) নামেও পরিচিত হবে। যা নতুন দিল্লি স্টেশনের ১৬টি প্ল্যাটফর্মকেই ঢেকে দেবে বলে আশা করছেন রেল কর্তারা। শুক্রবার রেল ল্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অথরিটির সঙ্গে একটি বিশদ পর্যালোচনা বৈঠক করেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। সেখানেই তিনি এই প্রকল্পটি দ্রুত শুরু করার নির্দেশ দিয়েছেন বলে সূত্রের খবর। জানা যাচ্ছে, প্রকল্পটি দ্রুত শুরু করার জন্য বাণিজ্যিক উন্নয়নের বিষয়টি আপাতত স্থগিত করে মূল স্টেশনের পুনর্গঠনের কাজ আগে করা হবে বলে ঠিক হয়েছে।
রেলমন্ত্রকের এক শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন, যাত্রী সুবিধা, পার্কিং, স্টেশন বিল্ডিংয়ের মূল এলাকার কাঠামো উন্নয়নের কাজগুলি প্রথম পর্যায়ে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। পরের পর্যায়ে রিয়েল এস্টেট-সহ বাণিজ্যিক উন্নয়নের কাজ। আরও জানা যাচ্ছে, নতুন দিল্লির পাশাপাশি মুম্বইয়ের ছত্রপতি শিবাজি টার্মিনাল স্টেশনের পুনর্গঠনের কাজও শুরু করতে চায় রেলমন্ত্রক। এর জন্য খরচ ধরা হয়েছে ১,৬০০ কোটি টাকা। এটিও হাইব্রিড বিওটি মডেলে hybrid BOT model হবে। এই হাইব্রিড বিওটি মডেলে কাজ শুরুর প্রথম পর্যায়ে নির্মাতা সংস্থাদের রেল প্রকল্পের ৪০ শতাংশ টাকা দিয়ে দেবে। আর বাকি ৬০ শতাংশ টাকা পরের ২৬ বছরে নিশ্চিত রিটার্নের প্রতিশ্রুতিতে কিস্তিতে মিটিয়ে দেবে। এর পরিবর্তে ওই এলাকায় বাণিজ্যিক সুবিধা নিতে পারবে ওই নির্মানকারী সংস্থা। জানা যাচ্ছে, ১০০০ কোটি টাকার বেশি মূল্যের প্রকল্পগুলির দ্রুত ছাড়পত্র দিতে চলেছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভা।