নিজস্ব প্রতিনিধি: দেশের ব্যস্ততম রেলস্টেশন হাওড়া। যদিও করোনাকালে এখন ট্রেন এবং যাত্রী সংখ্যা কিছুটা কম। তবুও হাওড়া থেকে প্রতিদিন প্রচুর দূরপাল্লায় ট্রেন ছাড়ে এবং পৌঁছয়। কিন্তু সম্পূর্ণরূপে ভারতে তৈরি সেমি হাইস্পিড ট্রেন-সেট বন্দে ভারত এক্সপ্রেস কবে হাওড়া থেকে চলবে সেটা নিয়ে কৌতুহল ছিল রেলযাত্রীদের। আর চললেও সেটি কোন রুটে চালানো হবে সেটা নিয়েও জল্পনা কল্পনা চলছে দীর্ঘদিন ধরেই। এবার রেল সূত্রে জানা যাচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গ অবশেষে প্রথম বন্দে ভারত এক্সপ্রেস পেতে চলেছে। আর সেটা হাওড়া থেকে রাঁচির মধ্যে চলাচল করবে। ফলে এবার সকালে হাওড়া থেকে ট্রেনে উঠে ঘণ্টা তিন-সাড়ে তিনের মধ্যে রাঁচি পৌঁছে প্রয়োজনীয় কাজ সেরে আবার রাতের মধ্যেই কলকাতায় ফিরতে পারবেন যাত্রীরা।
হাওড়া ও রাঁচির দূরত্ব কমবেশী ৪০০ কিলোমিটার। এই দুই শহরের মধ্যে বর্তমানে সবচেয়ে দ্রুতগামী ট্রেন চলে শতাব্দী এক্সপ্রেস। তাতে সময় লাগে ৭ ঘণ্টা। কিন্তু বন্দে ভারত এক্সপ্রেস বা ট্রেন-১৮ চালু হলে এই পথে সময় লাগবে চার ঘণ্টারও কম। কারণ বন্দে ভারত চলবে ঘণ্টায় ১৩০ কিমি গতিবেগে। রেল সূত্রে খবর, সকালে হাওড়া থেকে ছাড়বে আবার রাতে হাওড়া ফিরে আসবে বলেই রুট টাইম বা শিডিউল প্রস্তুত করা হয়েছে। জানা যাচ্ছে, গোটা যাত্রা পথে পূর্ব রেলের নিয়ন্ত্রণে থাকবে টার্মিনাল স্টেশন হাওড়া সহ ৫ স্টেশন। দক্ষিণ পূর্ব রেলের থাকবে টার্মিনাল স্টেশন রাঁচি সহ ৬ স্টেশন।
রেল সূত্রে আরও জানা যাচ্ছে, পূর্ব রেলে প্রথম বন্দে ভারত এক্সপ্রেস দুটি কারণে হাওড়া ও রাঁচির মধ্যে চালানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। এই রুটে রেললাইনের চাপ একটু কম। তাছাড়া লাইনের পরিকাঠামো খুব ভালো। তাই হাওড়া থেকে পুরুলিয়া পর্যন্ত ট্রেন-১৮ বা বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ছুটবে ১৩০ কিমি গতিতে। পুরুলিয়া থেকে রাঁচি ট্রেন ছুটবে ১১০ কিমি গতিতে। আর তাতেই সময় কমে আসবে প্রায় অর্ধেকের কম। তবে পথ মধ্যে ট্রেনটির কতগুলি স্টপেজ হবে সেটা এখনও ঠিক হয়নি। আর কবে থেকে চালু হবে সেটাও জানায়নি রেল কর্তারা। তাঁদের দাবি, হাওড়া-রাঁচি অত্যন্ত লাভজনক রুট। যেহেতু শিল্পাঞ্চলের একটা অংশ এই পথে যুক্ত তাই যাত্রী পাওয়া যাবে। রেলমন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, এই মুহূর্তে রেলের কারখানাগুলিতে বন্দে ভারতের ৫৬টি রেক তৈরি হয়ে গিয়েছে। এরমধ্যে একটি রেক হাওড়ায় পাঠানো হবে শীঘ্রই।