সুব্রত রায়: একুশের সমাবেশ উপলক্ষে গোটা কলকাতা শহরকে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে।মোট ৫০০০ পুলিশ নজরদারি ও ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের মূল দায়িত্বে থাকছে। বিশেষ পুলিশ কমিশনার(Special Comissionar)মূল মঞ্চের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকছেন । এছাড়া দু’জন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার সহ নিরাপত্তায় মোট ৮ জন যুগ্ম পুলিশ কমিশনার, ৩১ জন ডিসি, ৫০ জন এসি, ১৫০ জন ইন্সপেক্টর, ৭৫০ এসআই ও এএসআই।
ধর্মতলা চত্বরের আশপাশের অঞ্চল ১৫টি জোনে ভাগ করে থাকবেন নজরদারিতে। প্রতি জোনের দায়িত্ব থাকবেন একজন করে ডেপুটি কমিশনার।
শহরের ১৮টি জায়গায় পিকেট থাকবে। এছাড়া থাকছে……………………………
১৪টি জায়গায় অ্যাম্বুল্যান্স,
১০টি ড্রপ গেট,
৫টি সিজার ব্যারিকেড,
৮টি জায়েন্ট স্ক্রিন ও ৪টি ভিউ কাটার থাকছে।
শুক্রবার ভোররাত থেকেই ২৯টি জায়গায় পার্কিং,
৪৮টি ‘মো আই হেল্প ইউ’ বুথ
১২টি হেভি রেডিও ফ্লাইং স্কোয়াড ও
পর্যাপ্ত সংখ্যক পিসিআর ভ্যান থাকছে।
৬টি কুইক রেসপন্স টিম,
২০টি বহুতলের ছাদ থেকে বাইনোকুলারে নজরদারি,
ভিডিওগ্রাফি হবে মঞ্চ সংলগ্ন পাঁচটি বহুতলের ছাদ থেকে।
মঞ্চ সংলগ্ন অঞ্চলে ১৪৪ ধারা ও নজরদারিতে ৪৫টি অতিরিক্ত সিসিটিভি(CCTV) ক্যামেরা থাকবে। সমাবেশের ওপর
উড়বে একাধিক ড্রোন। লালবাজার কন্ট্রোল রুম থেকে ওই ড্রোনের মাধ্যমে নজরদারি চালানো হবে।
৪টি গঙ্গার ঘাটে ডিএমজির নৌকা ও ডুবুরি থাকছে।
দশটি মেট্রো স্টেশনে (Metro Station)অতিরিক্ত বাহিনী থাকছে।
মূল মঞ্চকে নিরাপত্তার তিনটি বলয়ে ভাগ করা হয়েছে……
বলয় ১ — মূল মঞ্চের দায়িত্বে একজন ডিসি, তিনজন এসি, চার ইন্সপেক্টর, পাঁচ সাব ইন্সপেক্টর, পাঁচ এএসআই, মহিলা-সহ ৩৬ পুলিশকর্মী, ২৫ মহিলা-সহ ৯৫ সাদা পোশাকের পুলিশ, ২০ জন মহিলা উইনার্স, ২৫ পুরুষ ও ১৫ মহিলা র্যাফ জওয়ান।
বলয় ২ — মঞ্চের পিছন দিক ও সংলগ্ন এলাকায় দু’ভাগে নজরদারি। নিরাপত্তার দায়িত্বে একজন ডিসি, তিনজন এসি, ৬ ইন্সপেক্টর, ১২ এসআই, ১৭ এএসআই, ৪৫ পুলিশকর্মী।
বলয় ৩ — মঞ্চের বাইরে চৌরঙ্গি স্কোয়ারে পাঁচটি ভাগে নজরদারি। নিরাপত্তার দায়িত্বে দু’জন ডিসি, পাঁচজন এসি, সাতজন ইন্সপেক্টর, ১৮ এসআই, ১৯ এএসআই, ১০০ জন পুলিশকর্মী।