নিজস্ব প্রতিনিধি: প্রত্যাশা ছিল। সেই প্রত্যাশা মতোই একুশের মঞ্চ থেকে দিল্লিকে, গেরুয়া শিবিরকে, বিভেদকামী শক্তিকে নিশানা বানালেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। একুশের সকালে তিনি আগেই দিয়েছেন ট্যুইট বার্তা। জানিয়েছিলেন, ‘আজ শহীদ দিবস, প্রত্যাবর্তনের দিবস। হৃদয়জুড়ে জাগিয়ে তোলে আবেগের মহাস্রোত। বাংলা আজ সেই ১৩জন শহীদকে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করবে যারা যারা অত্যাচারী শক্তির সঙ্গে লড়াই করে এবং গণতান্ত্রিক নীতিকে সমুন্নত রাখতে তাদের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। সেই ঘটনায় অনুপ্রাণিত হয়ে আমিও কাজ করে যাব একটি ন্যায়সঙ্গত সমাজ গঠনের লক্ষ্যে।’ আর মঞ্চে এসে তুললেন গর্জন, ‘যদি কেউ ভাবে মানুষকে ভুল বুঝিয়ে তৃণমূলকে দুর্বল করবে, তা হলে ভুল করেছ। তৃণমূল বিশুদ্ধ লোহা, যত পোড়াবে, আঘাত করবে তত শক্তিশালী হবে। ‘ইন্ডিয়া’কেও আটকানো যাবে না।’
এদিনের সভা থেকে অভিষেক যে গেরুয়ায় শিবিরের বিরুদ্ধে সরব হবেন সেটা প্রত্যাশাই ছিল। দেখা গেল সেটাই হয়েছে। অভিষেক দিল্লির শাসকদের নাম না নিয়েই আক্রমণ শানিয়েছেন। একদিকে কেন্দ্রের বঞ্চনা অন্যদিকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাদের দিয়ে হয়রানি, দুইটি বিষয়েই কেন্দ্রকে নিশানা বানিয়েছেন এদিন অভিষেক। আবার মানুষকে সঙ্গে নিয়ে দিল্লিতে গিয়ে ১০০ দিনের কাজের টাকা ছাড়িয়ে আনার কথাও ঘোষমণা করে দিয়েছেন। বলেছেন, আগামী ২ অক্টোবর অর্থাৎ, জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীর জন্মদিনে ‘দিল্লি চলো’র ডাক দেবে তৃণমূল। সেদিন দিল্লিতে কৃষিভবন অভিযানে যাবেন তিনি। সেই সঙ্গে আগামী ৫ অগস্ট রাজ্যে বিজেপি নেতাদের বাড়ি ঘেরাও কর্মসূচির কথাও ঘোষণা করেন অভিষেক। তিনি বলেন, ‘আগামী ৫ অগাস্ট, শনিবার বিজেপির ব্লক, বুথ, রাজ্য,, যেকটা নেতা আছে আপনার ব্লকে একটা তালিকা তৈরি করুন। ৫ অগাস্ট শান্তিপূর্ণভাবে এদের বাড়ি ঘেরাও করুন। সকাল ১০- সন্ধে ৬টা পর্যন্ত। বয়স্কদের রাস্তা ছেড়ে দেবেন। বিজেপি নেতারা বাড়িতে ঢুকবেও না বেরোবেও না। কোথাও কারও গায়ে হাত নয়। প্ররোচনায় পা নয়। ৩৪১ টা ব্লক। ১২৭টা মিউনিসিপালিটির ওয়ার্ড, টাউন গণঘেরাও কর্মসূচির ডাক। এরা যার পা ধরে রাজনীতি করে, দিল্লিতে তার দফতরও ঘেরাও হবে।’