নিজস্ব প্রতিনিধি: পার্থ চট্টোপাধ্যায়(Partha Chattopadhay) ট্রেলারও নয়। তিনি নিছকই টিজার। সিনেমা কিন্তু অনেকটাই তৈরি হয়ে গিয়েছে। আর সেই সিনেমার চিত্রনাট্য, প্রযোজনা, পরিচালনার দায়িত্বে আছেন মাত্র দুইজন। মহারাষ্ট্র(Maharashtra) তাঁদেরই কর্ম। বাংলা(Bengal) তাঁদের ভবিষ্যৎ মাত্র। আসল লক্ষ্য অবশ্যই বিরোধীহীন ২৪। সেই ২৪ এর অনেক অনেক আগেই সিনেমার মুক্তি বাংলার বুকে। হুবহু এক। বিধায়ক কেনো, নিজের দিকে টানো, গদি ওল্টাও। যে মুখ হতে চায়, তাঁকেই গদি থেকে সরিয়ে দাও। তাঁর আশেপাশের মানুষগুলোকে নাড়িয়ে দাও। হাত না মেলালে, ধরিয়ে দাও। সিবিআই(CBI), ইডি(ED) কত কে আছে ধরার জন্য। পাবলিক নিয়ে ভেবো না, গদি যার, পাবলিকও তার। গদি হারা করে, রাস্তায় নামাও। শাসককে তাঁর বিরোধী পদ ফিরিয়ে দাও। সিনেমা তৈরি হচ্ছে বাংলার বুকে। খুব ভুল কথা বলেননি মিঠুন, অভিমত গেরুয়া শিবিরের নেতাদের। ৪০জনের সঙ্গে যোগাযোগ আছে। ওটা ৮০-৮২ হতে বেশি সময় লাগবে না, বুক ঠুকে দাবি বঙ্গ বিজেপির নেতাদের।
অনেকেরই প্রশ্ন, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারি, অর্পিতার বাড়ি থেকে কোটি কোটি টাকা উদ্ধার, এসবই কী নিছকই তদন্ত? নাকি শাসকের ভাবমূর্তিতে ধাক্কা দেওয়ার পাশাপাশি বৃহত্তর ষড়যন্ত্র গদি উল্টে দেওয়ার। পরিচ্ছন্ন বার্তা দিয়ে দেওয়া শাসকের পাশে থাকা নেতাদের, হয় হাত মেলাও নাহলে পার্থ’র মতো জেলে যাও। কোনও প্রমান নেই, কিন্তু কোনও প্রমানের দরকারও নেই। প্লট রেডি। এবার একের পর এক রোল, ক্যামেরা, অ্যাকশান। পার্থ তো শুধুই টিজার। ট্রেলারও রেডি আছে। যে কোনওদিন মুক্তি পাবে। ২৩-এর শুরুতেই হয়তো সিনেমা। মানে বাংলার বুকে মহারাষ্ট্রের অবতারণা। দলটাও হয়তো চলে যাবে পদ্মফুলের তাঁবেদারে। যেমনটি শিবসেনার হয়েছে। উদ্ধব আছেন, কিন্তু দলের কিছুই তাঁর হাতে নেই। কেউ না মানতেই পারেন। উদ্ধবও জানতেন না, জানানোর পরেও বিশ্বাস করতে পারেননি, দলের সবাই বেহাত হচ্ছেন। দাম আজ তাঁকেই মেটাতে হচ্ছে। খুব দ্রুত সেখানে নির্বাচনের সম্ভাবনাও নেই। হলেও মানুষ তাঁর পাশে দাঁড়াবেন, এমন ভরসাও নেই। কেননা এটাও ঠিক তিনি ‘বাংলার অগ্নিকন্যা’ নন। বাকিটা ভবিষ্যৎ…