নিজস্ব প্রতিনিধি: লোকসভা নির্বাচনের(Loksabha Election 2024) আবহে পদ্মশিবিরের মুখ পুড়িয়ে দিলেন বিজেপিরই এক নেতা। ঝাড়গ্রাম জেলার(Jhargram District) গোপীবল্লভপুর থানার(Gopiballavpur PS) আমজুড়ি গ্রামের বাসিন্দা ওই বিজেপি নেতার(BJP Leader) নাম মানিক শ্যামল। নিজ এলাকাতে তো বটেই, জেলার রাজনীতিতেও তিনি বেশ দাপুটে নেতা হিসাবেই পরিচিত। সেই নেতাকেই কিনা পুলিশ গ্রেফতার(Arrested) করেছে মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে তোলাবাজি করার অভিযোগে। এই ঘটনায় গোপীবল্লভপুরে তো বটেই ঝাড়গ্রাম এমন কি দুই মেদিনীপুরের মাটিতেও চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ধৃত বিজেপি নেতাকে শুক্রবার ঝাড়গ্রাম আদালতে তোলা হলে বিচারক তাকে ৩ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন। ঝাড়গ্রাম জেলার পুলিশ সুপার অরিজিৎ সিনহা জানিয়েছেন, ‘মানিক শ্যামলের নামে একাধিক মামলা রয়েছে। এবারে এক ব্যবসায়ীর অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। দোষ করলে কেউ ছাড় পাবে না।’
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২২ এপ্রিল গোপীবল্লভপুর থানায় শ্যামসুন্দর দোলই নামে এক ব্যবসায়ী অভিযোগ করে জানান, ৯ মার্চ সন্ধ্যায় নামে তিনি আশুই এলাকা থেকে হাতিবাড়ি এলাকায় একটি গাড়ি চেপে যাচ্ছিলেন। সেই সময় মাঝ রাস্তায় গাড়ি থামান মানিক শ্যামল। এরপর মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে ১ লক্ষ টাকা চান দাপুটে ওই বিজেপি নেতা। কিন্তু সেই টাকা তিনি দিতে চাননি। এরপর বেশ কিছুক্ষণ ধস্তাধস্তি চলার পর ৩০ হাজার টাকা নিয়ে চম্পট দেন মানিক। তবে বাড়ি ফিরে ভয়ে সেকথা জানাতে পারেননি ওই ব্যবসায়ী। ২২ এপ্রিল থানায় অভিযোগ করেন ব্যবসায়ী। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। থানায় অভিযোগের পর থেকে গা ঢাকা দিয়ে বেড়াচ্ছিলেন মানিক। আগেও এই ধরনের ঘটনার একাধিক অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। তবে শুধু মানিক নন, এই ঘটনায় আরও অনেকে জড়িত রয়েছে বলে পুলিশের অনুমান। মানিক শ্যামল বিজেপির হয়ে পঞ্চায়েত সমিতির ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন। ওই এলাকায় বেশ প্রভাব রয়েছে। তার বিরুদ্ধে খুনের মামলাও রয়েছে। কার্যত তিনি এলাকার ত্রাস।