নিজস্ব প্রতিনিধি: অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের (ARPITA MUKHERJEE) বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে বিপুল পরিমাণ টাকা। মিলেছে প্রচুর গয়না। তবে এসবের না কি কিছুতেই অধিকার ছিল না অর্পিতার। ইডির (ED) দাবি এমনটাই। অর্পিতাকে জেরা করে না কি এমনটাই জানতে পেরেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
ইডির দাবি, অর্পিতার এই সমস্ত টাকা ব্যবহারের কোনও অনুমতি ছিল না। যে টাকা সে ব্যবহার করত, সেই সমস্ত টাকার হিসেব আছে আয়কর রিটার্ন ও অন্যান্য নথিতে। এমনটাই না কি জানা গিয়েছে অর্পিতাকে জেরা করে। অর্পিতাকে জেরা করে যা জানতে পেরেছে ইডি, সেই সমস্ত তথ্য যাচাই করা শুরু করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
উল্লেখ্য অর্পিতার টালিগঞ্জ ও বেলঘরিয়ার ২ টি ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রায় ৫০ কোটি টাকা। উদ্ধার হয়েছে, হাজার ডলার, শিক্ষা দফতরের খাম বন্দি ৫ লক্ষ টাকা, হার্ড ডিস্ক। প্রকাশ্যে এসেছে এবং বিভিন্ন জনগণের দাবি অনুসারে তাঁদের রয়েছে, একাধিক বাগানবাড়ি ও বাড়ি। উদ্ধার করা হয়েছে ৭৬ লক্ষ টাকার গয়না, ১৮ টি মোবাইল, ১ টি কালো ডায়েরি সহ আরও ২ টি ডায়েরি। তবে উধাও ৪ টি বিলাসবহুল গাড়ি। যার মূল্য প্রায় দেড় কোটি। এরমধ্যে ২ টি গাড়ি অর্পিতার নামেই। জানা গিয়েছে, রূপচর্চার জন্য অর্পিতা ব্যয় করতেন লক্ষ লক্ষ টাকা। আরও শখ ছিল, গাড়িতে ঘুরে বেড়ানো আর বিমানযাত্রা মানেই ছিল ‘বিজনেস ক্লাস’ সিট। খাওয়া মানেই অর্পিতার পছন্দ ‘পাঁচতারা’ হোটেল। আরও জানা গিয়েছে, ওড়িয়া ও তামিলের বেশ কয়েকজন অভিনেত্রী ছিলেন তাঁর বন্ধু। তাঁদের সঙ্গে বছরে বেশ কয়েকবার বিদেশ ভ্রমণেও গিয়েছিলেন তিনি। দুবাইয়ে গিয়ে দেখে এসেছেন আইপিএল ম্যাচ।
শখ ছিল, বিভিন্ন বিলাসবহুল প্রথম সারির ক্লাবে গিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয়। আরও জানা গিয়েছে, নিজের জন্য বিদেশ থেকে মেকআপ কিট আনাতেন অর্পিতা। তাঁর ছিল রূপচর্চার প্রশিক্ষণ। অর্পিতার তিনিটি পার্লার-ও রয়েছে। পার্লারে ব্যবহার করা হত ৮- ১০ লক্ষ টাকার মিকআপ কিট-ও।
খোঁজ মিলেছে, ১২ টি ভুয়ো কোম্পানির। যার মধ্যে ৬ টিতে কাজ করতেন অর্পিতার ঘনিষ্ঠ আত্মীয়রা। ৩ টির মালিক ছিলেন অর্পিতা নিজে। সন্দেহ, হাওয়ালা যোগ, রিয়েল এস্টেট বিনিয়োগ। অন্যদিকে, একটি মেল আইডির খোঁজ পেয়েছেন ইডি আধিকারিকরা। জানা গিয়েছে, ৫ বছর আগে খোলা হয়েছিল একটি সংস্থা। যেখানে শেয়ার ছিল ১ লক্ষ টাকার। ইডির দাবি, ওই সংস্থার শেষ বৈঠক হয়েছিল গত বছরের ৩০ নভেম্বর। জানা গিয়েছে, মেল আইডি শুরু হয়েছে ‘এআরপি’ দিয়ে। ইডির অনুমান, অর্পিতার নামের সঙ্গে মিল রেখেই খোলা হয়েছিল মেল আইডি। অনুমান, প্রযোজক হয়ে চলচ্চিত্রে টাকা বিনিয়োগ করতে চেয়েছিলেন অর্পিতা। এভাবেই কালো টাকা করতে চেয়েছিলেন সাদা।