নিজস্ব প্রতিনিধি: সবে মাত্র ১ মাস পার হয়েছে। তারমধ্যেই ক্যানিংয়ের(Canning) বুকে আবারও চলল গুলি। এবারেও লক্ষ্য সেই তৃণমূল(TMC)। মন্দের ভালো এবার আর কারও মৃত্যু হয়নি। জুলাই মাসের ৭ তারিখে দক্ষিণ ২৪ পরগনা(South 24 Pargana) জেলার ক্যানিং থানার গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় প্রকাশ্য দিবালোকে গুলি(Shootout) করে ও কুপিয়ে খুন করা হয় ৩জন তৃণমূলকর্মীকে। সেই ঘটনার রেশ এখনও কাটেনি। তার আগেই শনিবার রাতে সেই ক্যানিং থানা এলাকাতেই ঘটে গেল শুটআউটের ঘটনা। গতকাল রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ ক্যানিং থানার ইটখোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল কর্মী জসিমউদ্দিন মোল্লাকে তাঁর বাড়ির কাছেই ঘিরে ধরে প্রথমে হুমকি ধমকি ও পরে গুলি করা হয়। ভাগ্য ভাল সেই গুলি লাগে জসিমউদ্দিনের বাঁ কাঁধের কাছে। তাই জীবনহানির ঘটনা ঘটেনি। রাতেই জসিমউদ্দিনকে কলকাতায় এনে ভর্তি করা হয় চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৪জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এই ঘটনার কারণ হিসাবে রাজনীতির যোগ অপেক্ষা ব্যক্তিগত শত্রুতাই উঠে আসছে। যদিও জসিমউদ্দিনের পরিবার এই ঘটনার জন্য বিজেপির দিকেই আঙুল তুলেছে। কিন্তু স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক পরেশরাম দাস দাবি করেছেন এই ঘটনার পিছনে রাজনীতি নেই। ব্যক্তিগত শত্রুতার জেরে হামলা হয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি। ঘটনার জেরে শনিবার রাতেই ক্যানিং থানার পুলিশ জসিমউদ্দিনের বয়ান অনুযায়ী ঘটনার মূল অভিযুক্ত সাইফুল ঘরামি-সহ ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে। গতকাল রাতেই এই ৪জনই জসিমউদ্দিনের বাড়ির কাছেই রাস্তার ওপর তাঁর বাইক দাঁড় করিয়ে তাঁকে গুলি করেছিল। পুলিশ ধৃতদের কাছ থেকে অবশ্য কোনও অস্ত্র উদ্ধার করতে পারেনি। কোন আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে গুলি চালানো হয়েছিল আর সেই আগ্নেয়াস্ত্র কোথায় সেটাই এখন খোঁজ করছে পুলিশ। পাশাপাশি পুলিশের অনুমান, এই ঘটনায় রাজনীতি অপেক্ষা পরকিয়া বেশি জড়িয়ে আছে। কেননা অভিযোগ উঠেছে জসিমউদ্দিন স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার জেরেই অনেকেরই বিরাগভাজন হয়ে উঠেছিলেন। সেই সূত্রেই হামলার ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে মনে করছে পুলিশ।