নিজস্ব প্রতিনিধি, বৃহত্তর নয়ডা: ক্লাসে পরীক্ষা নেওয়া হবে। আগের দিন সব পডুয়াকে বলে দিয়েছিলেন মাস্টারমশাই। সেই সঙ্গে দিয়েছিলেন হোমওয়ার্ক। কোনও কারণে পডুয়া হোমটাস্ক করা সম্ভব হয়নি। সেই সঙ্গে পরীক্ষার জন্য সে পড়াশোনাও করতে পারেনি। মাস্টারমশাইয়কে সেটা জানালে মাস্টারমশাই মেজাজ হারান এক পড়ুয়ার কাছে স্কেল চেয়ে নেন। বাকি ছাত্রদের সামনে স্কেল দিয়ে পর পর ওই ছাত্রটির মাথায় মারতে থাকেন। মারের চোটে পডুয়ার মাথা ফেটে যায়। ঘটনার কথা স্কুলের বাকি শিক্ষকেরা জানতে পারলে দ্রুত তারা আহত পড়ুয়াকে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করান। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই পডু়য়ার মৃত্যু হয়। শিক্ষক পলাতক। তাঁর নাম সোরেন। পরিবারের তরফ থেকে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। সোরেনকে খুঁজতে পুলিশ তল্লাশি শুরু করেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে গ্রেটার নয়ডার গৌতমবুদ্ধ নগরে ক্যাপ্টেন সানওয়ালি পাবলিক স্কুলে গত ৬ অক্টোবর। স্কুল সূত্রে পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, ওই দিন ক্লাসে পরীক্ষা নেওয়ার কথা ছিল। সোরেন (বর্তমানে পলাতক) পডুয়াদের বলে দিয়েছিলেন পরীক্ষার কথা। সেই সঙ্গে দিয়েছিলেন হোমটাস্ক। ৬ অক্টোবর ওই পড়ুয়া স্কুলে পৌঁছে জানায় বাড়ির সমস্যার কারণে সে হোমটাস্ক করে উঠতে পারেনি। মাস্টারমশাই সে কথা শুনে প্রথমে গালে চড়-থাপ্পড় মারে। পরে এক পড়ুয়ার থেকে স্কেল নিয়ে ওই পড়ুয়ার মাথায় মারতে থাকে। ক্লাসের মধ্যেই ক্লাস ফাইভের পডু়য়ার মাথা ফেটে যায়। হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁর মৃত্যু হয়।
