নিজস্ব প্রতিনিধি: খাতায় কলমে এখনও তিনি কৃষ্ণনগর উত্তরের বিজেপি বিধায়ক। বিজেপিতে যাওয়ার পর বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছেন। তার পরে আবার তৃণমূল কংগ্রেসে প্রত্যাবর্তন করেছেন একদা তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কম্যান্ড। কিন্তু জোড়াফুল শিবিরে ফিরলেও তাঁকে সক্রিয় অবস্থায় দেখা যাচ্ছে না রাজ্য রাজনীতিতে। তিনি সক্রিয় না হলেও তাঁর বাড়িতে ইদানিং দেখা যাচ্ছে তৃণমূলের বড় মাঝারি নেতাদের আনাগোনা। আর যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে রণকৌশল ঠিক করতে বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদের দ্বারস্থ হচ্ছেন তৃণমূলের নেতারা।
সম্প্রতি দুর্গাপুজোর বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে যান মুকুল রায়। সেখানে দলের সর্বোচ্চ নেত্রীর সঙ্গে মুকুল রায়ের বেশ কিছুক্ষণ কথোপকথন হয়। এরপর রাজ্য রাজনীতিতে মুকুল রায়ের সক্রিয় হয়ে ওঠার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ মনে করছেন। কালী পুজোর দিন মুকুল রায়ের বাড়িতে দেখা গেল তৃণমূলের বর্তমান সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ নেতারা। বিজেপি বিধায়ক মুকুল রায়ের বাড়িতে দেখা গিয়েছে পার্থ ভৌমিক, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, অর্জুন সিংদের। আর এই বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চর্চা শুরু হয়েছে, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে রাজ্যে নতুন রাজনৈতিক সমীকরণ তৈরি হতে পারে।
প্রসঙ্গত রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির টিকিটে নদিয়ার কৃষ্ণনগর উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রে জয়লাভ করার পরেও তৃণমূলে ফেরেন মুকুল রায়। ২০২১ সালের ১১ জুন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন করেন কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক। একসময়ের বঙ্গ রাজনীতিতে দাপট দেখানো, বর্তমানে নিষ্ক্রিয় নেতার বাড়িতে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাদের আনাগোনা নতুন সমীকরণের জল্পনা তৈরি করেছে রাজনৈতিক মহলে।