সুব্রত রায়:মশার আতুর ঘরের পাশে বসবাস মানুষের। ডেঙ্গুর আতঙ্কে দিন কাটছে এলাকার মানুষের। বহু মানুষ এলাকায় ডেঙ্গু জ্বর – এ আক্রান্ত। ঘটনা স্থল কলকাতা পুরসভার ১২৭ নম্বর ওয়ার্ড।বেহালার(Behala) সরশুনার স্যাটেলাইট টাউনশিপের এর দুটো ঝিল এর বেহাল দশা। দুটো ঝিল এর আয়তন দুই একর করে। কোনো ঝিল পরিষ্কার হচ্ছেনা । প্রায় দেড় বছর ধরে। পানা ভর্তি হয়ে রয়েছে দুটো ঝিলই। মশা জন্মাছে জলে। মাছ চাষ বন্ধ হয়ে রয়েছে। রক্ষনা বেক্ষণ এর অভাবে ওই দুটি ঝিলের জল পচে গেছে। আতঙ্কতে ওই এলাকার সাধারণ মানুষ জন। ১২৭ নম্বর ওয়ার্ড(127No ward) কলকাতা কর্পোরেশন এর স্থানীয় কাউন্সিলর মালবিকা বৈদ্যকে বলেও কোনো কাজ হচ্ছেনা, অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের।
একটা সময় ছিলো এই ঝিল এর জল স্থানীয় মানুষ জন ব্যবহার করতো। এলাকার মানুষ জন স্থানীয় কাউন্সিলর, মেয়র ববি হাকিম এর কাছে এই ঝুল দুটির প্রতি নজর দেওয়ার জন্য আবেদন জানিয়েছেন এলাকার মানুষজন। এই অসুবিধা থেকে কি ভাবে মুক্তি পাবেন ভেবে পাচ্ছেনা স্থানীয় বাসিন্দারা। এদিকে ওই এলাকায় ডেঙ্গু(Dengu) বৃদ্ধি পাওয়ায় চিন্তিত সকলে। ইতিমধ্যে কলকাতা পৌরসভার মেয়র ডেঙ্গু প্রতিরোধে সবকটি ওয়ার্ডের কাউন্সিলরকে সর্বশক্তি নিয়ে রাস্তায় নামার নির্দেশ দিয়েছেন।
১২৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মালবিকা বৈদ্য (Malobika Baidya)জানান ,তার এলাকায় যে দুটো ঝিল রয়েছে সেগুলো পরিষ্কার করার ভার পুরসভার পক্ষ থেকে তার ওপরে দেওয়া হয়েছে ।কিন্তু সেই দুটি ঝিল কার অধীনে তা জানতে বেশ কিছুটা সময় লেগে গিয়েছে। খুব শীঘ্রই তিন নম্বর ঝিলটি পরিষ্কার করা হবে। কিন্তু দু নম্বর ঝিলটির মালিকাধীন কার, তা নিয়ে সংশয় কাটেনি। তাই ঝিল পরিষ্কারের ক্ষেত্রে বিলম্ব হচ্ছে। তবে ওই ঝিলের পচা জল থেকে ডেঙ্গু ওই এলাকায় ছড়াচ্ছে ,তা মানতে নারাজ স্থানীয় কাউন্সিলর।