নিজস্ব প্রতিনিধি: সমস্যার কারণে একটি চোখ ঢাকা ছিল বালিকার। কী হয়েছে জানতে চেয়ে তার কাছে নিজে থেকেই এগিয়ে গেলেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তারপর দিলেন চিকিৎসার আশ্বাস। শুক্রবার শুক্রবার আমতলায় বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে ফেরার পথে ওই নাবালিকার সঙ্গে কথা বলেন অভিষেক।
চোখে সমস্যা হলে প্রতিদিনের জীবনে কতটা অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়, তা তিনি নিজের অভিজ্ঞতায় জানেন। দীর্ঘ ছ’ বছর ধরে নিজে চোখের সমস্যায় ভুগেছেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷ শুক্রবার আমতলায় বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠানে যোগ দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন অনুষ্ঠান থেকে বেরোনোর পথে নিজের সামনে ছোট্ট একটি মেয়ের চোখে বিশেষ ধরনের চশমা দেখেন সাংসদ। চতুর্থ শ্রেণির ওই ছাত্রীর বাঁদিকের চোখের চশমার কাঁচটি পুরোপুরি ঢাকা৷ এরপর নিজেই এগিয়ে গিয়ে যান তার কাছে। জানতে চান সমস্যার কথা। সাংসদকে ওই ছাত্রী এবং তাঁর অভিভাবক জানান, ডান দিকের চোখে সমস্যা রয়েছে৷ তাই চিকিৎসকের পরামর্শেই এই ধরনের চশমা পরে থাকতে হয় তাকে৷ ওই ছোট মেয়ের কথা শুনে এরপর সাংসদ নিজেই চিকিৎসার যাবতীয় বন্দোবস্ত করে দিতে উদ্যোগী হন। ছাত্রীর অভিভাবকের নাম, ফোন নম্বরও নিয়ে নেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। ওই ছাত্রীর চোখের উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করানোর আশ্বাস দেন তিনি।
চোখের বিষয়ে নাবালিকাকে পরামর্শও দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি ওই ছাত্রীকে বলেন, ‘তুমি দুটো চোখই ব্যবহার করবে৷ তা না হলে একটা চোখে বেশি চাপ পড়বে৷’ সাংসদের তরফে এমন সহযোগিতার আশ্বাস পেয়ে খুশি ওই ছাত্রী এবং তার পরিবার।