নিজস্ব প্রতিনিধি: সংশোধনী নাগরিকত্ব আইন (CAA) নিয়ে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের (Shantanu Thakur) সভায় এলেন না দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumder)। এই ঘটনায় বিজেপির (BJP) ভিতরে অন্তর্কলহের ছবি আরও একবার প্রকাশ্যে চলে এল। শুধু বিজেপির রাজ্য সভাপতি নন, ডাক পাননি বিধায়ক স্বপন মজুমদার এবং বনগাঁ বিজেপির সভাপতিও।
সিএএ আইন নিয়ে মতুয়াদের মাঝে সভা করছেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। শনিবার বনগাঁর ঠাকুরনগরে সেই সভায় এলেন না বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। নাগরিকত্ব আইন কেন এখনও বাংলায় প্রয়োগ হচ্ছে না, তা নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে মতুয়াদের মাঝে। তার মাঝে এদিন সভা করছেন শান্তনু ঠাকুর। অথচ দলের এই সভায় আসেননি বিজেপির রাজ্য সভাপতি। শুধু তাই নয় ওই সভায় ডাক পাননি বনগাঁ দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক স্বপন মজুমদার। ডাকা হয়নি বনগাঁ বিজেপির সভাপতিকেও। যদিও এদিন শান্তনুর ডাকে ঠাকুরনগরে গিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেখানে মন্দিরে পুজো দেন তিনি।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে নাগরিকত্ব অস্ত্রে শান দিতে এদিন বনগাঁর ঠাকুরনগরে সিএএ নিয়ে সভা করার সিদ্ধান্ত নেয় গেরুয়া শিবির। কিন্তু দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও তারকা নেতা মিঠুন চক্রবর্তী যখন বার বার দলের সংগঠনের মধ্যে ঐক্য ধরে রাখার জন্য বার্তা দিচ্ছেন। সেই আবহে দলের সভায় বিধায়ক ও স্থানীয় সভাপতির ডাক না পাওয়ায় বেআব্রু হয়ে পড়েছে বিজেপির অন্তর্কলহ। প্রসঙ্গত বাংলায় সিএএ কার্যকর করা হবে বলে এর আগে বারবার সরব হয়েছেন শান্তনু ঠাকুর।