নিজস্ব প্রতিনিধি: প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের ছেলে সৌভিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে লুক আউট সার্কুলার জারি করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি (ED)। ইতিমধ্যে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের তরফে এয়ারপোর্ট অথিরিটিকে সৌভিক ভট্টাচার্যের নথি পাঠানো হয়েছে।
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে গ্রেফতার করেছে। তদন্তকারীদের আতসকাচের তলায় রয়েছে মানিকপুত্র সৌভিক ভট্টাচার্যও। ইডির চার্জশিটে নাম রয়েছে তাঁর। ইতিমধ্যে সৌভিক ভট্টাচার্য কলকাতা হাইকোর্টে জামিনের আবেদন জানিয়েছেন। আগামী ২২ তারিখে সেই মামলার শুনানি হতে পারে। তার আগে বড় পদক্ষেপ নিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সৌভিক ভট্টাচার্য যাতে দেশ ছেড়ে চলে যেতে না পারেন, তাই তাঁর বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিস জারি করা হয়েছে। সৌভিকের পাসপোর্ট ও ছবি দিয়ে এয়ারপোর্ট অথিরিটিকে তথ্য পাঠিয়েছে ইডি।
উল্লেখ্য নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে মানিক ভট্টাচার্য গ্রেফতার হওয়ার পর ইডির আইনজীবী আদালতে দাবি করেন, মানিকের ছেলে সৌভিক ভট্টাচার্যের একটি সংস্থা রয়েছে, যেখানে তথ্যপ্রযুক্তির কাজ কর্ম হয়। শুধু তাই নয় সৌভিকের অ্যাকাউন্টে ২ কোটি ৬৪ লাখ টাকা পাওয়া গিয়েছে বলেও জানান তিনি। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আইনজীবীর দাবি, গত ২ সেপ্টেম্বর বেঙ্গল টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের সঙ্গে সৌভিকের ওই সংস্থার চুক্তি হয়। সেই চুক্তি অনুযায়ী ৫১৪টি বিএ এবং বিএড কলেজে প্রযুক্তিগত উন্নয়নের দায়িত্ব পায় সংস্থাটি। অভিযোগ, দায়িত্ব নিলেও কোনও কাজ হয়নি। এমনকি টাকাও ফেরত যায়নি। ইডির আধিকারিকরা মনে করছেন নিয়োগ দুর্নীতিতে যে টাকা লেনদেন হয়েছে তা মানিক ভট্টাচার্যের পরিবারের সদস্যদের অ্যাকাউন্টেও গিয়েছে। অন্যদিকে নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত কুন্তল ঘোষও গোয়েন্দাদের জেরার মুখে জানিয়েছেন, তাঁর টাকা গিয়েছে মানিক ভট্টাচার্যের কাছেও।