নিজস্ব প্রতিনিধি, ভগবানপুর: এগরার খাদিকুলে বিস্ফোরণ কাণ্ডে এনআইএ তদন্তের দাবিতে বিজেপির মিছিলকে কেন্দ্র করে অশান্ত পরিবেশ গড়ে ওঠে। বোমাবাজি ও গুলি চালানোর অভিযোগ উঠলো একদল দুষ্কৃতিকারীদের বিরুদ্ধে৷ মিছিলে বিজেপি বিধায়কের উপস্থিতিতে বোমাবাজি ও গুলি চালানোর ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে। দুষ্কৃতীদের ছোড়া গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন এক বিজেপি কর্মীও। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটার সময় ভগবানপুর বিধানসভা পাঁউশি এলাকায়। রক্তাক্ত জখম ওই বিজেপি কর্মী’কে উদ্ধার করে তমলুক জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ালে ঘটনাস্থলে ছুঁটে আসে ভূপতিনগর থানার(Bhupatinagar P.S.) পুলিশ সহ পাশাপাশি কয়েকটি থানার পুলিশ। আচমকায় ঝড় বৃষ্টি শুরু হয়ে যাওয়ায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে অতি দ্রুত৷
ঘটনার সূত্রপাত, এগরা ১ ব্লকের সাহাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের খাদিকুল গ্রামের ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণে ৯ জনের মৃত্যু হয়। আহত সংখ্যাও একাধিক। এই বিস্ফোরণে এনআইএ তদন্তের দাবিতে প্রতিবাদ ও ধিক্কার মিছিল বের করে বিজেপি। বৃহস্পতিবার বিকাল ৫ টা সময় ভগবানপুর বিধানসভা পাঁউশি থেকে বরোজ পর্ষন্ত প্রতিবাদ মিছিল শুরু হয়। মিছিলের অগ্রভাগের নেতৃত্ব দেন ভগবানপুরের বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ মাইতি সহ বিজেপি নেতৃত্বরা। মিছিল শুরু হওয়ার সময়ই চারিদিক থেকে বোমাবাজি ও গুলি চালাতে থাকে দুষ্কৃতীরা। বোমাবাজি ও গুলিতে বিজেপি যুব মোর্চার সভাপতি গোবিন্দ দাস গুরুতর জখম হন। খোদ বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ মাইতি জখম হন। এছাড়াও মিছিলের থাকা মহিলাদের শ্লীলতাহানি করা হয় বলে অভিযোগ। এছাড়াও ৮-১০ বিজেপি কর্মী সমর্থক আহত হন। গুলিবিদ্ধ বিজেপি কর্মী গোবিন্দ দাস’কে উদ্ধার করে তমলুক জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার খবর পেয়ে ছুঁটে আসে ভূপতিনগর থানার পুলিশ। যদি ওই বিজেপির মিছিল গন্তব্যস্থলে যেতে বাঁধা দেয়। পুলিশের দাবি রাজনৈতিক হিংসা ছড়াতে পারে, তাই মিছিল বন্ধ করে দেওয়া হল। বিজেপি কর্মী সমর্থকরা পুলিশের সঙ্গে বাদানুবাদ হয়।
ভগবানপুরের বিধায়ক(MLA) রবীন্দ্রনাথ মাইতি বলেন ” রাজ্যে সরকার আছে বলে মনে হয় না। শান্তিপূর্ণ মিছিলে পুলিশের সামনে গুলি ও বোমাবাজি করলো। একাধিক বিজেপি কর্মী সমর্থকরা গুরুতর জখম হয়েছেন। মহিলাদেরও শ্লীলতাহানি করা হয়। আগামী দিনে ভগবানপুরে হার্মাদ মুক্ত করবো “।যদিও এই সমন্ত অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেছে শাসক দল তৃনমূল কংগ্রেস। স্থানীয় তৃণমূল নেতার দাবি এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের যোগ নেই। বিজেপি গোষ্ঠীকোন্দলের কারণে এমন ঘটনা। পুলিশ তদন্ত করলে প্রকৃত তথ্য প্রকাশ পাবে । রাতে তৃণমূলের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয় বিজেপি বিধায়কের সঙ্গে থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা গুলি চললে এক তৃণমূল কর্মী আহত হন।