নিজস্ব প্রতিনিধি: কেকে-র মৃত্যুবার্ষিকীতে সোশ্যাল মিডিয়ায় ফের ট্রোলিং শুরু রূপঙ্করকে নিয়ে। বিতর্ক রূপঙ্কর চুপ থাকলেও মুখ খুললেন গায়কের স্ত্রী চৈতালি বাগচি। গতবছর আজকের দিনেই কলকাতায় এসে মারা যান বলিউডের স্বনামধন্য গায়ক কৃষ্ণকুমার কুন্নথ ওরফে কেকে। এই অভিশপ্ত রাতের কথা হয়তো কেউই ভোলার নয়। দেখতে দেখতে এক বছর অতিক্রান্ত। প্রিয় গায়কের মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছিল গোটা দেশ, বিশেষ করে তরুণ প্রজন্ম। অন্যদিকে রোষের মুখে পড়েছিলেন গায়ক রূপঙ্কর বাগচি। নেপথ্যে তাঁর একটি ফেসবুক ভিডিও। নজরুল মঞ্চে গাইতে উঠে অকূল জনসমুদ্রের জোয়ারে অস্বস্তিকর পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
যার ফলে অনুষ্ঠানের শেষে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগেই মারা যান তিনি। ৩০ ও ৩১শে মে পরপর দু’দিন কলকাতার দুই নামী কলেজের অনুষ্ঠানে পারফর্ম করেন কেকে। আর কলকাতায় কেকে-র কনসার্ট নিয়ে ভক্তদের উন্মাদনা দেখে ফেসবুক ভিডিওতে নিজের ক্ষোভ উগরে দেন রূপঙ্কর। আর সেই ভিডিয়ো পোস্ট করার চব্বিশ ঘন্টা কাটতে না কাটতেই মারা যান কেকে। তারপরই ক্ষেপে ওঠেন কেকের ভক্তরা। তাঁদের চোখে তিনিই তখন ‘ভিলেন’ হয়ে ওঠেন রূপঙ্কর। রূপঙ্করের বয়কটের ডাক ওঠে। রোষের মুখে পড়েন রূপঙ্করের পরিবারও। ক্ষমা চেয়েও কোনও লাভ হয়নি।
নামী কোম্পানির জিঙ্গল থেকে বাদ দেওয়া হয় রূপঙ্করের কন্ঠ। কেকে-র মৃত্যুর এক বছর পরেও সেই বিতর্ক এখনও মানুষ ভোলেননি। কেকে-র মৃত্যুবার্ষিকীতে ফের ট্রোল শুরু হয়েছে রূপঙ্করকে নিয়ে। কেউ লিখছেন, ‘হু ইজ রূপঙ্কর ম্যান?’ আবার কেউ ‘তোতলা গায়ক’ বলে আক্রমণ শাণাচ্ছেন। এই প্রসঙ্গে একটি সংবাদমাধ্যমকে গায়কের স্ত্রী জানান, এক বছর পর কতটা বদলেছে বাগচি পরিবারের জীবন? প্রবাহমান জীবনে সময় কি পরিস্থিতি বদলে দিয়েছে? আমি নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারে বেড়ে উঠেছি। তাই বরাবরই স্বাচ্ছন্দ্যর থেকে শান্তিই বেশি প্রিয়। সময়ের সঙ্গে সবটাই পরিবর্তনশীল। কেকে-এর মৃত্যুবার্ষিকীতে তাঁর প্রতি আমার শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা।’ আপতত গান আর নাটক নিয়েই ব্যস্ত রূপঙ্কর। সঙ্গ দিচ্ছেন তাঁর স্ত্রী।