নিজস্ব প্রতিনিধি, বেঙ্গালুরু: ভোটের আগে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, ক্ষমতায় এলেই প্রতি পরিবারের একজন মহিলাকে গৃহলক্ষ্মী যোজনায় প্রতি মাসে ২,০০০ টাকা ভাতা দেওয়া হবে। আর ওই এক প্রতিশ্রুতিতেই কেল্লাফতে করেছে শতাব্দী প্রাচীন দল। বিপুল জনসমর্থন নিয়ে দক্ষিণী রাজ্যটিতে ক্ষমতায় ফিরেছে। যদিও এখনও ‘গৃহলক্ষ্মী’ যোজনা চালু হয়নি। কিন্তু ওই যোজনার সুফল কে পাবেন, অর্থাৎ ভাতা কে তুলবেন তা নিয়ে ঘরে-ঘরে শাশুড়ি-বউমার লড়াই শুরু হয়েছে।
রাজ্যের কংগ্রেস সরকারের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত অবশ্য ‘গৃহলক্ষ্মী’ যোজনার নিয়মাবলী ও শর্ত তৈরি হয়নি। কিন্তু গৃহকর্ত্রী হিসেবে শাশুড়িকেই ওই ভাতা দেওয়ার বিষয়টি চিন্তাভাবনা করছেন সরকারের নীতি নির্ধারক। আর ওই খবর চাউর হতেই বেঁকে বসেছেন বউমা। যেহেতু সংসার চালানোর ঝক্কি তাঁদেরই সামলাতে হয়, তাই কেন গৃহলক্ষ্মী যোজনার বিশেষ ভাতার দাবিদার তারা হবেন না, সেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন তাঁরা।
রাজ্যের নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রী লক্ষ্মী হেব্বালকর জানিয়েছেন, ‘গৃহলক্ষ্মী যোজনার সুবিধা কে পাবেন, তা পরিবারই ঠিক করবে। তবে ভারতীয় সংস্কৃতি অনুযায়ী যেহেতু শাশুড়িই বাড়ির গৃহকর্ত্রী, তাই গৃহলক্ষ্মী যোজনার সুবিধা পাওয়ার কথা শাশুড়ির। তিনি যদি মনে করেন তাহলে বউমাকে ওই যোজনার উপভোক্তা হিসেবে মনোনীত করতে পারবেন।’ একই কথা বলেছেন রাজ্যের পূর্তমন্ত্রী সতীশ জারকিহোলি। মহিলা সংগঠনগুলির পক্ষ থেকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, গৃহলক্ষ্মী যোজনা বাবদ ভাতা নিয়ে যদি পরিবারের পক্ষ থেকে সহমতের ভিত্তিতে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব না হয়, তাহলে শাশুড়ি ও বউমাদের মধ্যে বরাদ্দ ভাতা সমান ভাগে ভাগ করে দেওয়া হোক।