নিজস্ব প্রতিনিধি: আজ একুশে জুলাই(Ekushe July)। ৩০তম শহিদ দিবস। বাংলার(Bengal) শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের(TMC) বার্ষিক পার্বণ। এদিন সকালেই দলের তরফে ট্যুইট করেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারন সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়(Abhishek Banerjee)। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘আজ শহীদ দিবস, প্রত্যাবর্তনের দিবস। হৃদয়জুড়ে জাগিয়ে তোলে আবেগের মহাস্রোত। বাংলা আজ সেই ১৩জন শহীদকে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করবে যারা যারা অত্যাচারী শক্তির সঙ্গে লড়াই করে এবং গণতান্ত্রিক নীতিকে সমুন্নত রাখতে তাদের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। সেই ঘটনায় অনুপ্রাণিত হয়ে আমিও কাজ করে যাব একটি ন্যায়সঙ্গত সমাজ গঠনের লক্ষ্যে।’ প্রতি বছরের মতো এদিনও তৃণমূলের তরফে শহীদ দিবসের এই মহাসমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে কলকাতার ধর্মতলার ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে। এদিন সকাল থেকেই সেখানে ভিড় জমাচ্ছেন জোড়াফুলের সমর্থেকেরা।
আরও পড়ুন স্বাধীনতা দিবসের কুচকাওয়াজে Red Road-এ দুর্গাপুজোর Tableau
প্রতি বছরের মতো এবারের একুশের সমাবেশেরও মূল বক্তা তথা আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু সেই বাংলার অগ্নিকন্যা তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। দলনেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় ছাড়াও বক্তৃতা করবেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, যুবনেত্রী সায়নী ঘোষ, রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সীর মতো নেতারা। সভার শেষ বক্তা হবেন মমতা। ধর্মতলা ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে মূলত তিনটি মঞ্চ প্রস্তুত করা হয়েছে। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, একটি মঞ্চে থাকবেন তৃণমূলের বিভিন্ন জনপ্রতিনিধিরা, একটিতে থাকবেন দলের ‘শহিদ পরিবার’এর সদস্যরা এবং মূল মঞ্চে থাকবেন দলের শীর্ষ স্তরের নেতৃত্বরা। কলকাতা শহরের একাংশে এদিনের সমাবেশের জেরে বিপুল জনসমাগম হতে শুরু হয়ে গিয়েছে। কাতারে কাতারে মানুষ ছুটে চলেছেন ধর্মতলার অভিমুখে। হাওড়া স্টেশন, শিয়ালদা স্টেশন, হাজরা মোড়, রাসবিহারো মোড়, শ্যাববাজারের দিকে থেকে আসতে শুরু করেছে একের পর এক মিছিল। আর এই ভিড় সামলাতে প্রস্তুত কলকাতা পুলিশও।
আরও পড়ুন গ্রামীণ উন্নয়নে বাংলাকে ২৩০০ কোটি টাকা দিচ্ছে NABARD
এদিন কলকাতার বিস্তীর্ণ অংশে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে। সমাবেশে রাজ্যের নানা প্রান্ত থেকে বহু মানুষ আসবেন। তাই শহরের বাইরে থেকেও ঢুকে পড়েছে প্রচুর বাস। সকালে তৃণমূল কর্মীদের আসা এবং দুপুরের পরে ফিরে যাওয়া। এর ফলে রাস্তাঘাট গোটা দিনই ভিড়ে ভারাক্রান্ত থাকবে বলেই মনে করা হচ্ছে। সমাবেশে যোগ দিতে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে স্থলপথে ও জলপথে ধর্মতলার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন কয়েক হাজার তৃণমূল কর্মী। কুলতলি, পাথরপ্রতিমা, রায়দিঘি, বারুইপুর, ডায়মন্ড হারবার, ক্যানিং-সহ জেলা থেকে কলকাতামুখী তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের ভিড়। বৃহস্পতিবার বিকেলে মুখ্যমন্ত্রী ধর্মতলায় মঞ্চ তৈরির কাজ খতিয়ে দেখে যান। প্রায় এক ঘণ্টা তিনি সভাস্থলেই ছিলেন। দলীয় কর্মীদের পাশাপাশি নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কলকাতা পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরদের সঙ্গে কথাও বলেন মমতা। সবার এখন একটাই অপেক্ষা, কখন আসবেন মমতা।