নিজস্ব প্রতিনিধি: এবারে তৃণমূলের(TMC) একুশে জুলাইয়ের(Ekushe July) কর্মসূচী শুধু যে ২৪’র যুদ্ধের আগে শেষ একুশে জুলাই ছিল তাই নয়, রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচনের(Panchayat Election) পরে এই সমাবেশ ছিল কার্যত বিজয় সমাবেশ। কিন্তু সেই পঞ্চায়েত ভোটেই তৃণমূল বেশ কিছু নেতা, কর্মী, প্রার্থী ও সমর্থক মারা যাওয়ায় এবারের সমাবেশকে স্মরণ সমাবেশের রূপ দেওয়া হয়েছিল। সেই সমাবেশ থেকেই এদিন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee) একযোগে আক্রমণ শানলেন বাম(Left) ও বিজেপিকে। লক্ষ্যণীয় ভাবে তিনি আক্রমণ করেননি কংগ্রেসকে। এদিন তিনি জানিয়েছেন, ‘আমি চ্যালেঞ্জ নেওয়া লোক। মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি করছে বিজেপি(BJP)। ত্রিপুরায় রথযাত্রায় ২৬ জন মারা গেলেন। ট্রেন দুর্ঘটনায় কত মানুষ মারা গেলেন। নমামি গঙ্গে প্রকল্পকেন্দ্রে কত জন দুর্ঘটনায় মারা গেলেন। আমি কিন্তু কিছু বলিনি। মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি করি না। কিন্তু বাংলাতে কেউ মারা গেলেই রাজনীতি শুরু করছে বিজেপি। বাংলায় মাত্র ৩টে জায়গায় ঝামেলা হয়েছে। ভাঙড়, ইসলামপুর আর কোচবিহার। ভাঙড়ে হাঙড়রা গণ্ডগোল করেছে। ভোটের দিন ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। ভোটের আগে থেকে আজ পর্যন্ত মোট ২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। তার মধ্যে ১৮ জন তৃণমূলের কর্মী। তৃণমূল কি তৃণমূলকে খুন করবে?’
আরও পড়ুন ‘ঘর ঘর মে এক হি ডাক, মোদি যাক, মোদি যাক’, গর্জন মমতার
এর পাশাপাশি তিনি বলেন, ‘পঞ্চায়েতে বিক্ষিপ্ত ঘটনা ঘটেছে। আমরা সমর্থন করিনা। প্রত্যেকটা ক্ষেত্রে আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। মৃতদের মধ্যে ১৮ জন তৃণমূলের, বিজেপির ৩ জন ও সিপিএমের ৩ জন রয়েছে। সিপিএমের বন্ধুরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বরাবরই আপনাদের অ্যালার্জি। বলুন, ২০০৩ সালের নির্বাচনে কত জন খুন হয়েছিলেন? ৮৯ জন। ২০০৮ সালে শুধু নির্বাচনের দিন ৩৯ জন খুন হয়। পঞ্চায়েত ভোটের সমস্যা হচ্ছে, এক বাড়িতে চার জন দাঁড়ান। এটা সামাজিক সমস্যা। নির্বাচনে সেই জন্য অনেক জায়গায় রাজনৈতিক নয়, অরাজনৈতিক পঞ্চায়েত রয়েছে। কিন্তু রাজনৈতিক পঞ্চায়েত তো আমরা আনিনি। ৭১ হাজার বুথের মধ্যে মাত্র ৩টে জায়গায় গণ্ডগোল হয়েছে। খুনোখুনির মধ্যে ব্যক্তিগত শত্রুতার জেরে মৃত্যুর ঘটনাও রয়েছে। কিন্তু নিহতের সকলের পরিবারকেই ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হচ্ছে। পরিবারের এক জনকে হোমগার্ডের চাকরিও দেওয়া হবে।’
আরও পড়ুন আসছে বাংলার নিজস্ব ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প, ‘খেলা হবে’
এরপরেই মুখ্যমন্ত্রী নিশানা বানান বিজেপিকে। বলেন, ‘ফেক ভিডিয়ো বানিয়ে বাংলাকে অশান্ত করার শখ। বিজেপি ঘটনা সাজিয়ে দিতে চাইছে। ভিডিও করে বাংলাকে অসম্মান করার চক্রান্ত করা হচ্ছে। BJP তৈরি করে সাজিয়ে ফেক ভিডিয়ো করে। পুলওয়ামার মতো। যেমন সিনেমাতে হয়। মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি করছে বিজেপি। ত্রিপুরায় রথযাত্রায় ২৬ জন মারা গেলেন। ট্রেন দুর্ঘটনায় কত মানুষ মারা গেলেন। নমামি গঙ্গে প্রকল্প কেন্দ্রে কত জন দুর্ঘটনায় মারা গেলেন। আমি কিন্তু কিছু বলিনি। মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি করি না। কিন্তু বাংলাতে কেউ মারা গেলেই রাজনীতি শুরু করছে বিজেপি।’