নিজস্ব প্রতিনিধিঃ রাজ্যের প্রতি কেন্দ্রের বঞ্চনার অভিযোগ দীর্ঘদিনের। ১০০ দিনের কাজের অর্থ সহ বকেয়া অর্থ না মেটানোর অভিযোগ করে এসেছে রাজ্যের শাসকদল। সেই প্রতিবাদ সুদূর দিল্লি পর্যন্ত নিয়ে যেতে চাইছে রাজ্য নেতৃত্ব। এই মর্মে আগামী ২ ও ৩ অক্টোবর প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করবে তৃণমূল। দিল্লির একাধিক স্থানে ধর্না কর্মসূচি রয়েছে তৃণমূলের। তবে মেলেনি অনুমতি। ফলে ধর্নার জন্য এবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার সম্ভাবনা শাসকদলের।
২১ জুলাই-এর মঞ্চ থেকে কেন্দ্রের বঞ্চনার বিরুদ্ধে ‘দিল্লি চলো’ কর্মসূচির ডাক দিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের সমস্ত জেলা থেকে নেতা কর্মীদের দিল্লিতে প্রতিবাদ কর্মসূচি গ্রহণ করার কথা বলা হয়। তবে শেষঅবধি কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার কথা বলা হয় তৃণমূলের সাংসদ, বিধায়ক, জেলা পরিষদ ও পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিদের। ফলে ১ অক্টোবরই তাঁদের পৌঁছে যেতে হবে দিল্লিতে। অন্যদিকে সংসদের বিশেষ অধিবেশনের কারণে আগেই দিল্লিতে থাকবেন সাংসদেরা। এখনও তৃণমূল নেতৃত্বকে অনুমতি দেওয়া হয়নি। যেহেন প্রকারে প্রতিবাদ কর্মসূচি শুরু করতে মরিয়া শাসকদল। ফলে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার জন্য শাসকদল আলোচনা শুরু করেছে বলেই সূত্রের খবর।
কর্মসূচি হবেই আগেই জানিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ২ অক্টোবর গান্ধী জয়ন্তীতে রাজঘাটে শ্রদ্ধা জানিয়ে কর্মসূচি শুরু করার কথা। এরপর বকেয়া অর্থের দাবিতে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রীর অফিসে যাওয়ার কথা তৃণমূল নেতৃত্বের। যন্তর মন্তরে ধর্না অবস্থানেও বসার পরিকল্পনা। তবে মেলেনি অনুমতি।
সম্প্রতি অনুমতি চেয়ে দিল্লি পুলিশকে চিঠি লেখেন তৃণমূলের রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও ব্রায়েন। চিঠিতে লেখেন ‘‘পশ্চিমবঙ্গের মনরেগার কর্মীরা আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ৪ অক্টোবর পর্যন্ত দিল্লির বিভিন্ন এলাকায় ধর্না কর্মসূচি করবেন। সেই উপলক্ষ্যে রামলীলা ময়দানে প্রায় ৫০ হাজার মানুষের জন্য থাকার ব্যবস্থা করতে চায় তৃণমূল।’’ দিল্লি পুলিশকে একাধিকবার চিঠি দিয়েও কোনও লাভ হয়নি। এবার সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার কথা ভাবছে রাজ্যের শাসক দল।