নিজস্ব প্রতিনিধি: আলিপুর সংশোধানাগার এখন মিউজিয়াম। সেই ঘটনার প্রথম বর্ষপূর্তির অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বৃহস্পতিবার কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন নরেন্দ্র মোদির সরকারের(Narendra Modi Government) বিরুদ্ধে সরব হলেন কলকাতার মেয়র তথা রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম(Firhad Hakim)। তিনি এদিন মোদি সরকারকে নিশানা বানিয়ে বলেছেন, ‘ইতিহাস বিকৃত করে দিয়ে আসল স্বাধীনতা সংগ্রামীদের মর্যাদা দিচ্ছেন না। আপনি শুধু সাভারকারকে সম্মান দেবেন আর অন্য স্বাধীনতা সংগ্রামীদের দেবেন না এটা হয় না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আলিপুর জেলকে মিউজিয়াম(Alipore Correctional Home Museum) করেছেন, স্বাধীনতা সংগ্রামীদের সম্মান দিচ্ছেন। আসল স্বাধীনতা সংগ্রামী এবং বাংলার গৌরবদের আমরা এই আলিপুর মিউজিয়ামে সম্মান দিচ্ছি। আসলে এরা শুধু পাবলিসিটি মাস্টার। শুধু নাম পরিবর্তন। শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের নামে বন্দর নেতাজিকে সরিয়ে। কি করছেন? এখানে জাতি ধর্মেও থেকে অনেক বেশি আমরা ভারতীয়।’
ফিরহাদ মুখ খুলেছেন দেশের সংবিধান পরিবর্তন করার ইস্যু নিয়েও। মোদি সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে সংবিধানের প্রস্তাবনায় থাকা ‘ধর্মনিরপেক্ষ’(Secular) ও ‘সমাজতন্ত্র’(Socialist) শব্দদুটি মুছে দেওয়ার। সেই ঘটনায় ফিরহাদ বলেন, ‘যারা সংবিধান লিখেছিলেন তারা ধর্মনিরপেক্ষ এবং যথেষ্ট বিদ্বান ছিলেন। সংবিধানের সেই ভাবমূর্তি আপনারা উড়িয়ে দেবেন? কোন দিন ভারতবর্ষটাকেই হয়তো উড়িয়ে দেবেন। এ এক দারুন খেলায় আপনারা মেতেছেন। নিশ্চিতভাবে ২৪’র নির্বাচনে মানুষ এর জবাব দেবে।’ অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ফিরহাদ রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকেও নিশানা বানিয়েছেন, মহার্ঘ্য ভাতা নিয়ে আন্দোলনের মঞ্চে গিয়ে আর্থিক সাহায্যের জন্যও। বলেছেন, ‘এগুলো গিমিকের রাজনীতি হচ্ছে। শুভেন্দু পাগলের মতো বললে আমাদের নাচতে হবে। শুভেন্দু নিজের সম্পত্তি দিয়ে দিক না।’
সাংবাদিকেরা তাঁকে বরানগর পুরসভার ৩২জন কর্মীকে CBI’র ডেকে পাঠানোর ঘটনা নিয়েও প্রশ্ন করেন। তাতে ফিরহাদ জানান, ‘এটা হ্যারাসমেন্ট হচ্ছে।’ সাংবাদিকেরা তাঁকে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারন সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের লিপস এন্ড বাউন্ডস সহ তাঁর সম্পত্তির হিসাব নিয়ে আদালতের তলব নিয়েও প্রশ্ন করেন। তাতে ফিরহাদ বলেন, ‘সম্পত্তির হিসাব দিক না। কোন অসুবিধা নেই। কারণ আমরা অন্যায় করিনি করবোও না।’ এর পাশাপাশি মেয়র আশ্বাস দিয়েছেন, চলতি নিম্নচাপের বৃষ্টির জন্য রাস্তাঘাট কিছুটা খারাপ হলেও পুজোর আগে দুই চারদিন শুকনো আবহাওয়া পেলেই রাস্তা সারাই করে দেওয়া হবে। তবে বৃষ্টির মধ্যে রাস্তা সারাই করা যাবে না।