নিজস্ব প্রতিনিধিঃ কেন্দ্রের বঞ্চনার বিরুদ্ধে গত ২ ও ৩ অক্টোবর তৃণমূলের দিল্লি অভিযান কর্মসূচি ছিল। দিল্লির কৃষিভবনে অভিষেক সহ দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে আটক করে পুলিশ। ঘণ্টা দুয়েক পরে তাঁদের ছেড়েও দেওয়া হয়। তবে এই ঘটনার আঁচ পৌঁছবে খোদ বাংলাতেও। থানা থেকে বেরিয়েই বৃহস্পতিবার(৫ অক্টোবর) রাজভবন অভিযানের ডাক দিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার আরও জোরদারভাবে প্রতিবাদে সামিল হতে সমস্ত তৃণমূল কাউন্সিলরদের ডাক দিলেন মেয়র তথা মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
কলকাতার সমস্ত তৃণমূল কাউন্সিলরদের প্রায় ২হাজার করে কর্মী সমর্থক নিয়ে বৃহস্পতিবার রাজভবনের উদ্দেশ্যে প্রতিবাদী অভিযানে সামিল হতে বলেছেন ফিরহাদ হাকিম। দিল্লি কৃষিভবন কাণ্ড নিয়ে দিকে দিকে তৃণমূল কর্মীদের প্রতিবাদের আওয়াজ উঠেছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের ‘প্রতিনিধি’ হিসেবে রাজ্যপালই রাজ্যে দায়িত্ব পালন করেন। তাই রাজভবনকেই প্রতিবাদের স্থান হিসেবে নির্বাচিত করা হয়। ফলে বৃহস্পতিবার রাজভবনের সামনে প্রতিবাদ জোরদার হবে বলেই ধারণা রাজনৈতিক মহলের।
দিল্লি অভিযান কর্মসূচির দ্বিতীয় দিনে যন্তর মন্তরে কর্মসূচি শেষে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার কথা তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের। সেই অনুযায়ী সন্ধ্যা ৬টা ১০ মিনিটে পায়ে হেঁটে দিল্লির কৃষিভবনে পৌঁছয় তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। সঙ্গে ছিল ভুক্তোভোগীদের আট জন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তাঁদের সঙ্গে দেখা না করায় কৃষিভবনেই অবস্থান শুরু করে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। রাত্রি ৯টা নাগাদ কৃষিভবনে অবস্থানরত তৃণমূল কর্মীদের গলাধাক্কা দিয়ে বের করে অমিত শাহের ‘অধীনস্ত’ দিল্লি পুলিশ। টেনে হিঁচড়ে দলের নেতাদের প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়। অভিষেক-সহ দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে আটক করে দিল্লি পুলিশ। বাজেয়াপ্ত করা হয় তাঁদের মোবাইল ফোনও। রাত ১১টা নাগাদ ছেড়ে দেওয়া হয় তৃণমূল নেতৃত্বকে।