এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

তৃণমূল রত্নাকে শিখণ্ডী করে আমাকে শিক্ষা দিতে চেয়েছে! অভিযোগ শোভনের

নিজস্ব প্রতিনিধি: ভোট আসতেই আবারও সংবাদের শিরোনামে দুই নারী আর তাঁদের কেন্দ্র করে থাকা এক পুরুষের জবানী। মানে সেই রত্না-শোভন-বৈশাখীর ত্রিমুখী প্রেম ভালবাসা আর দ্বন্দ্বের মহাকাব্য। কলকাতা পুরনিগমের মুখে তা আবারও বেশ জমে উঠেছে। একদিকে রত্নাকে শোভনের পৈতৃক ভিটা ছাড়ার জন্য আইনি নোটিস পাঠিয়েছেন বৈশাখী, অন্যদিকে শোভন প্রশ্ন তুলেছেন কেন রত্নাকে পুরভোটে প্রার্থী করল তৃণমূল? এটা অভিমান নাকি প্রশ্ন নাকি অন্তরের ক্ষোভ তা বোঝা মুশকিল। তবে যে যাই বলুক, ঘটনা এটাই সকলের নজর টেনে শোভন-বৈশাখী বুঝিয়ে দিচ্ছেন রত্নাই তাঁদের শত্রু। তাই তাঁকেই বার বার আক্রমণ চালিয়ে যাবেন তাঁরা। তবে তৃণমূলও রত্নাকে বিধায়কের পাশাপাশি পুরনির্বাচনে প্রার্থী করে বুঝিয়ে দিয়েছে তাঁরা দুলালকন্যার পাশেই থাকবে।

রত্না-শোভনের বিবাদে তৃণমূল নিজেদের মতন করেই দূরত্ব বজায় রেখে গিয়েছে। তবে সময়ে অসময়ে এটা প্রকট হয়েছে যে দল রত্নার পাশেই থাকছে। তা কার্যত আরও পরিষ্কার হয়ে যায় একুশের বিধানসভা নির্বাচনকালে শোভনের একসময়কার বিধানসভা কেন্দ্র বেহালা পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্র থেকে তৃণমূল রত্নাকে প্রার্থী করায়। সেই নির্বাচনে জিতে রত্না বিধায়কও হন। রত্নার সেই জয় শোভন-বৈশাখী মেনে নিতে পারেননি। এখন তৃণমূল যখন আবার রত্নাকে শোভনেরই ছেড়ে যাওয়া কলকাতা পুরনিগমের ১৩১ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থী করেছে তখন সেটাও মেনে নিতে পারছেন না শোভন-বৈশাখী। এই ওয়ার্ড থেকে জিতেই কলকাতার মেয়র হয়েছিলেন শোভন। এখন সেখানেই রত্নাকে তৃণমূল প্রার্থী করায় সেই সিদ্ধান্ত নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন শোভন। বলেছেন, ‘আমি গ্রেফতার হয়েছি। আমাকে অনেক সময় মমতার পরিবারের বিরুদ্ধে বলানোর চেষ্টা হয়েছে। বলিনি, সব নিজের কাঁধে নিয়েছি। এজেন্সির কাছে কথা বলে, অনেকে পুরস্কৃত। যাঁরা বলেছেন তাঁরা পুরস্কৃত, আর আমি বহিষ্কৃত। বাহরে বা! তৃণমূল রত্না চট্টোপাধ্যায়কে সামনে রেখে শিখণ্ডী করে আমাকে শিক্ষা দিতে চেয়েছে।’

শোভনের পাশাপাশি রত্নাকে গুরুত্ব দেওয়া নিয়ে সরব হয়েছেন বৈশাখীও। জানিয়েছেন, ‘বিধানসভার সময় আমরা নয় বিজেপিতে ছিলাম, এখন তো নেই। তারপরও এই সিদ্ধান্ত কেন? ১৩১ নম্বর ওয়ার্ডে রত্নাকে টিকিট দেওয়া আমাদের ব্যথা দিয়েছে। শোভনদা রজানীতি থেকে দূরে। পথই পথ দেখাবে। ওয়েট অ্যান্ড সি।’ তবে শোভন বৈশাখীর এই আক্রমণের মুখে পাল্টা আক্রমণ শানিয়েছেন রত্নাও। জানিয়েছেন, ‘শোভনবাবুকে কেউ তিরস্কৃত করেনি, উনি নিজেই তৃণমূল ছেড়ে গেছেন। দলে ফিরে আসার ইচ্ছা থাকলে দলনেত্রীর পায়ে ধরতে পারতেন। ধরলেন না কেন? আর ওনার বিরুদ্ধে কাউকে শিখণ্ডী করা হয়নি। আমাদেরও অনেক ব্যথা আছে। বৈশাখী বাড়ি ছাড়ার নোটিস পাঠিয়েছেন। বাড়ি ছাড়তে বলা হয়েছে। বাড়ি নির্বাচনী কেন্দ্র করা যাবে না সেটাও বলা হয়েছে। ঠিক আছে ক্ষমতা থাকলে আসুন। যেভাবে বাড়ি কিনুন না কেন, এই বাড়ির মালিক রত্না চট্টোপাধ্যায়।‘ রত্না-শোভন-বৈশাখীর এই দ্বন্দে তৃণমূলের কোনও নেতাই বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলতে চাইছেন না। তবে দলের প্রথম সারির এক নেতা নামপ্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, ‘রত্নাকে গুরুত্ব দিয়ে দিদি স্পষ্ট ভাবে শোভন চট্টোপাধ্যায়কে বার্তা দিয়েছেন। সেই বার্তা যদি তিনি বুঝতে না পারেন সেটা তার অক্ষমতা। বউ, বাচ্চা, পরিবার, কেরিয়ার থাকা সত্ত্বেও অন্যের বউয়ের সঙ্গে পরকিয়ার সম্পর্কে জড়িয়ে শোভন নিজে যে ভাল কাজ করেননি আর এই ধরনের কাজ যে আমজনতাও মেনে নেবেন না সেটা ওনাকে বুঝতে হবে। উনি বলছেন বৈশাখীকে উনি বিয়ে করেছেন। রত্নাদির সঙ্গে কী ওনার ডিভোর্স হয়ে গিয়েছে? উনি বলছেন বাড়ি বিক্রি করে দিয়েছেন। যে বাড়ি বিক্রির প্রসঙ্গ সামনে এসেছে তা ওনার পৈতৃক বাড়ি। তাতে রত্নাদি এবং ওনার ছেলেমেয়ে দুইজনেরই ভাগ আছে। এই বিক্রি কী বৈধ? শোভনবাবু নিজের ভালো নিজে না বুঝলে তাঁকে আগামী দিনে অনেক দুর্যোগই সইতে হবে। রাজনীতির কেরিয়ার শেষ হয়ে গিয়েছে। এখনও বৈশাখী বৈশাখী করছেন কেন? কী ছিলেন আর কী হয়েছেন, নিজেই তুলনা করে দেখুন। শুধু শুধু রত্নাদিকে গালমন্দ করে কিছু পাবেন না। নিজের ভালো চাইলে দিদির না বলার কথাগুলো স্পষ্ট ভাবে বোঝার চেষ্টা করুন।’

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

তীব্র গরমে কলকাতায় বাড়ছে জল সমস্যা,পথে নামল পুরসভা

মেট্রো পরিষেবার সময়সীমা বাড়ানো নিয়ে বিবেচনার নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

খাস কলকাতায় যুবকের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার, শুরু তদন্ত

বাজপেয়ি-আদবানি আমলের নেতাকর্মীরা বসে যাচ্ছেন, চাপে বিজেপি

আদর্শ আচরণবিধির গেরোয় আটকে Property Tax-এ প্রবীণদের ছাড়

প্রকাশিত হল মাধ্যমিকের ফলাফল, প্রথম চন্দ্রচূড় সেন

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর