নিজস্ব প্রতিনিধি: কলকাতা পুরভোটে লড়াইয়ের ময়দানে ফের ফিরহাদ হাকিম। প্রাক্তন মেয়র-পুরপ্রশাসক, রাজ্যের পরিবহন-আবাসন মন্ত্রী, এছাড়াও তৃণমূল কংগ্রেসের কোর কমিটির সদস্য, কাঁধে রয়েছে গুরুদায়িত্ব। ৬২ বছর বয়সে এতগুলি দায়িত্ব পালন করে হাফিয়ে ওঠেন না ফিরহাদ হাকিম। সর্বদা কর্মে অবিচল। তৃণমূল নেত্রীর স্নেহধন্য ও বিশ্বস্ত, তাই দলে ‘এক পদ এক নেতা’ নীতি চালু থাকলেও কলকাতা পুরসভা ভোটে পুনরায় প্রার্থী ফিরহাদ হাকিম। আশা করা যায় সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থীও হতে পারেন ফিরহাদ হাকিম। তাই প্রশাসনের গুরুদায়িত্ব রয়েছে তাঁর কাঁধে। সারাদিন ছুটে বেড়াতে হয়, খেয়াল রাখতে হয় শরীরের।
তাই মেপে খাবার খান ফিরহাদ হাকিম। সোমবারেই ৮২ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হিসেবে শহরের সার্ভে বিল্ডিংয়ে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন ফিরহাদ হাকিম। সারাদিন সবদিকে মাথা ঘামাতে হয়, তাই সকালের শুরু থেকে রাত পর্যন্ত ভেবেচিন্তে খাওয়া দাওয়া করেন ফিরহাদ হাকিম। এই বিষয়ে তিনি জানিয়েছেন, ‘সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর শুকনো মুড়ি আর লাল চা খেয়ে দিন শুরু হয় করি। এরপর নানা কাজ সেরে সকাল ১১টার মধ্যে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়ার আগে। ভারী খাবার খেয়ে ফেলি।’ রোজই প্রায় মেনুতে থাকে, ভাত, ডাল, গয়না বড়ি, আলু পটল বা অন্য সব্জির তরকারি, মাছ এবং শশা সঙ্গে বেদানার রস। এই বিষয়ে ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, ‘আমি খুব কম খাই। সময়মতো খাওয়ার চেষ্টা করি। ভাত, ডাল, তরকারি, মাছ বাঙালি হালকা খাবার। আগে বিরিয়ানি-রেজালা খেতাম। এখন দেখতে ভাল লাগে, কিন্তু খেলেই পেট খারাপ হয়ে যায়।’
দুপুরে দুটো রুটি ও আলুভাজা কিংবা যে কোনও ভাজা দিয়ে লাঞ্চ করে ফেলেন ফিরহাদ হাকিম। তবে খিদে পেলেই তেল ছাড়া ভাজা চিড়ে। সেদ্ধ ডিম ও ফল খান পরিবহন মন্ত্রী। একাধিক দফতর, সঙ্গেই কলকাতা পুরসভার দায়িত্ব। এখন রোজের প্রচার আবার দলের দায়িত্বে আলোচনা, সমস্ত কাজ করতে হয়, তাই সুস্থ থেকে কাজ করতে হবে। এই চিন্তাতেঈ খাবার মেপেই খান। রাতে ভাত-ডাল ও যে কোনও তরকারি খান বলেই জানিয়েছেন ফিরহাদ হাকিম। আগামী ১৯ ডিসেম্বর কলকাতা পুরসভার ভোট। তাই মনোনয়ন দাখিল হলেও প্রচার চলবেই।