নিজস্ব প্রতিনিধি, হায়দরাবাদ: অশ্বমেধের ঘোড়ার মতো ছুটতে থাকা রাজস্থান রয়্যালসের জয় রথ থামাল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। বৃহস্পতিবার রাতে শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে শেষ বলে রভম্যান পাওয়েলকে সাজঘরে ফিরিয়ে দলকে জয় এনে দিলেন ভুবনেশ্বর কুমার। প্রথমে ব্যাট করে তিন উইকেট হারিয়ে ২০১ রান তুলে ছিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। জবাবে ২০০ রানেই থেমে গেল রাজস্থান।
রাজীব গান্ধি স্টেডিয়ামে এদিন রাতে জয়ের জন্য ২০২ রানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে খেলতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খেয়েছিল রাজস্থান রয়্যালস। ইনিংসের প্রথম ওভারেই জোড়া আঘাত হেনেছিলেন ভুবনেশ্বর কুমার। দ্বিতীয় এবং পঞ্চম বলে সাজঘরে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন রাজস্থানের ব্যাটিংয়ের দুই স্তম্ভ জস বাটলার ও সঞ্জু স্যামসনকে। দুজনেই শূন্য রানে সাজঘরে ফেরেন। কিন্তু এর পরেই ম্যাচের রং বদলাতে থাকে। বলা ভাল, বদলে দেন যশস্বী জয়সোয়াল ও রিয়ান পরাগ। তার জন্য খানিকটা অবদান হায়দরাবাদের জঘন্য ফিল্ডিং। চতুর্থ ওভারে যশস্বীর রান যখন সাত তখন তাঁর সহজ ক্যাচ ফেলে দেন হায়দরাবাদ অধিনায়ক প্যাট কামিংস। ব্যক্তিগত ২৪ রানের মাথায় প্রাণ পান পরাগও। তাঁর সহজ ক্যাচ ফেলে দেন অভিষেক শর্মা। এর পরে আর কোনও ভুল করেননি দুই ব্যাটার। ঠাণ্ডা মাথায় খেলে প্রতিরোধের প্রাচীর গড়ে তোলেন দুজনে। কীভাবে দুজনের জুটি ভাঙা যাবে তা ভাবতে গিয়ে কপালে চিন্তার ভাঁজ গভীর হয় হায়দরাবাদ অধিনায়ক প্যাট কামিংসের। অবশেষে ১৪তম ওভারে যশস্বীকে (৬৭) ফিরিয়ে দলকে ব্রেক থ্রু এনে দেন টি নটরাজন। খানিক বাদে প্যাট কামিংসের বলে সাজঘরে ফেরেন রিয়ান (৭৭)।
দুজনে সাজঘরে ফেরার পরেও ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ রাজস্থানের হাতেই ছিল। সিমরান হোয়াইটমার (১৩) ও ধ্রুব জুরেলকে (১) দ্রুত ফেরালেও একা কুম্ভ হয়ে লড়াই করছিলেন রভম্যান পাওয়েল। সেষ ওভারে জয়ের জন্য দরকার ছিল ১৩ রান। বুদ্ধি করে ভুবনেশ্বর কুমারের হাতে বল তুলে দিয়েছিলেন হায়দরাবাদ অধিনায়ক প্যাট কামিংস। ৫ বলে ১১ রান তুলে জয়ের দোরগোড়ায় পৌঁছে গিয়েছিল রাজস্থান রয়্যালস। সঞ্জু স্যামসনদের জয়ের জন্য শেষ বলে ২ রান প্রয়োজন ছিল। কিন্তু ভুবনেশ্বরের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে যান পাওয়েল। তাতেই জয়ের স্বপ্ন শেষ হয়ে যায় রাজস্থানের।