নিজস্ব প্রতিনিধি: ২০২৩ সালে দাঁড়িয়েও ভারতবর্ষে কন্যা সন্তান অনেকের কাছেই অপয়া, অলক্ষী। আজও বহু পরিবারে কন্যা সন্তানের জন্ম হলেও তাঁকে ফেলে দিয়ে আসা হয় কোনও নর্দমা, বা বস্তিতে। পুরুষতান্ত্রিক সমাজে পুত্রসন্তানই বেশিরভাগ পরিবারের প্রথম আশা থাকে। যাঁকে বিয়ে দেওয়ার কোনও চাপ নেই, সঙ্গে তাঁর রোজগার তো আছেই। তবে কন্যা সন্তানের ফেলে দিয়ে আসার ঘটনা যেমন আছে, তেমনি আছে এক একটি পরিবারে কন্যা সন্তানদের মাথায় তুলে রাখার গল্পকাহিনীও।
এই তো কিছুদিন আগেই একজন দম্পতি তাঁদের কন্যার প্রথম পিরিয়ড ডে সেলিব্রেশন করলেন একেবারে কেক কেটে লোকজন খাইয়ে। অন্যদিকে একটি পরিবার তাঁদের কন্যা সন্তানকে লক্ষী পুজোর দিন লক্ষী রূপে পুজো করলেন, এছাড়াও কুমারী পুজোর এক একটি উদাহরণ তো আছেই। সমাজের এমন ভাবনাচিন্তার খানিকটা আঁচ সেলিব্রিটিরা ও বহন করেন। বিভিন্ন নারী কেন্দ্রিক সিনেমাও আজকাল সমাজের কন্যা সন্তানকে ত্যাগ করার চিন্তাভাবনা বদলে দিচ্ছে।
যাই হোক, এবার আসি আসল কথায়। বলিউডের মেগাস্টার খোদ অমিতাভ বচ্চনও তাঁর কন্যাসন্তানকে একটু বেশিই ভালবাসেন। যদিও বাবাদের কাছে মেয়েরা একটি বাড়তি ভালোবাসা পেয়েই থাকে। তেমনি শ্বেতা বচ্চনও বাবার প্রাণকেন্দ্র। তাঁর দুই সন্তান নভ্যা এবং অগস্ত্যও এখন বলিউডের পপুলার নাম। মেয়ে এত বড় হয়ে যাওয়ার পরেও তাঁর প্রতি বাবার ভালোবাসা একটুও কমেনি। মুম্বইতে অমিতাভ বচ্চনের তিনটি বাংলো রয়েছে একই এলাকায়। জনক, জলসা এবং প্রতীক্ষা। জলসাতেই গোটা পরিবারের সঙ্গে বাস বিগ বির। কয়েক শো কোটির মালিক তিনি। খবর বলছে, সম্প্রতি অমিতাভ বচ্চন ও জয়া বচ্চন তাঁর তিনটি বাংলোর মধ্যে একটি প্রতীক্ষা মেয়ে শ্বেতা নন্দাকে উপহার দিয়েছেন।বিঠলনগর সমবায় হাউজিং সোসাইটির বাংলোটি ৬৭৪ বর্গ মিটার এবং ৮৯০.৪৭ বর্গ মিটার পরিমাপের দুটি প্লট জুড়ে বিস্তৃত, যার সমষ্টিগত মূল্য প্রায় ৫০.৬৩ কোটি টাকা। জানা গিয়েছে, ৮ নভেম্বর দুটি পৃথক উপহার দলিল স্বাক্ষরিত হয়েছে এবং দলিল নিবন্ধনের জন্য ৫০.৬৫ লক্ষ টাকার স্ট্যাম্প ডিউটি প্রদান করা হয়েছে। এবার এই বাংলোটিই মেয়েকে উপহার দিলেন অমিতাভ এবং জয়া বচ্চন।
বলিউড মেগাস্টার এবং তার পরিবার ক্যারিয়ারের শুরুতে বহু বছর প্রতীক্ষায় ছিলেন। জুহুতে তার আরও দুটি বাংলো রয়েছে- জলসা এবং জনক। অমিতাভের মেয়ে শ্বেতা বচ্চন নন্দা একজন লেখক, কলামিস্ট, প্রাক্তন মডেল এবং উদ্যোক্তা। তিনি একটি বেস্টসেলিং উপন্যাস লিখেছিলেন, যার নাম ‘প্যারাডাইস টাওয়ারস।