নিজস্ব প্রতিনিধি : হোটেলের ঘর থেকে উদ্ধার হল এক মহিলার দেহ। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার মায়াপুরে। মৃতার নাম মীনা বিশ্বাস। পুলিশ গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে। কে বা কারা এই ঘটনার পিছনে জড়িত, পুলিশ তা তদন্ত করে দেখছে। মহিলার মৃত্যু কি স্বাভাবিক নাকি ওই মহিলা আত্মহত্যা করেছেন, পুলিশ তা খতিয়ে দেখছে।
গত শুক্রবার মায়াপুর ঘাট সংলগ্ন হোটেল অন্নপূর্ণা লজে উঠেছিলেন বিশ্বাস দম্পতি। পরিচয়পত্রও জমা দিয়েছিলেন তাঁরা। শনিবার হোটেল পরিষ্কারের কাজ চলছিল। হোটেল পরিষ্কারের সময় বিশ্বাস দম্পতি যে ঘরে ছিলেন, সেই ঘরে কড়া নাড়েন সাফাইকর্মীরা। তখন ভিতর থেকে দরজা বন্ধ ছিল। কিছুক্ষণ ডাকাডাকির পর কোনও সাড়াশব্দ পাননি হোটেল কর্মীরা। কোনও সাড়াশব্দ না পেয়ে দরজা খুলে ভিতরে ঢোকেন সাফাই কর্মীরা। ঘরের আলো জ্বালাতেই চমকে ওঠেন তাঁরা। দেখেন, এক মহিলার নিথর দেহ ঘরের মেঝেতে পড়ে রয়েছে।
এরপর হোটেল কর্তৃপক্ষ পুলিশ খবর দেয়। পুলিশ এসে মহিলার দেহ উদ্ধার করে। মীনাদেবীর সঙ্গে হোটেলে একজন এসেছিলেন যিনি নিজেকে স্বামী পরিচয় দিয়েছিলেন। তার নাম বিদ্যুৎ বিশ্বাস। ঘটনার পর থেকে বিদ্যুত বিশ্বাসের কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। পুলিশ বিদ্যুতের খোঁজ করছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত বিদ্যুতের কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। তদন্তে উঠে এসেছে, মহিলার স্বামী বিদ্যুৎ বিশ্বাস ধানতলার বাসিন্দা। তিনি আংশিক দৃষ্টিহীন।
কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার সুপার এস অমরনাথ জানান, মীনার দেহকে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। তদন্ত চলছে। মহিলাকে খুন করা হয়েছে নাকি এর পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে, পুলিশ তা খতিয়ে দেখছে।